সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনি আজ শনিবার সকালে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় রাজস্থানের জয়পুরস্থ ফরটিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ দেন। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিঅাইকে একথা জানিয়েছেন। ওই হাসপাতালেই শুক্রবার দুর্ঘটনার ফলে তার মুখে সৃষ্ট ক্ষতস্থান সারাতে হেমার অপারেশন হয়। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনায় তার নাকে ফ্র্যাকচারও দেখা গিয়েছিল। এই ফ্র্যাকচারেরও চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে রাজস্থানের জয়পুর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে হেমা মালিনির মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি। বিপরীত দিক থেকে একটি মারুতি আলটো গাড়ির সঙ্গে জয়পুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী দুসারে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় হেমার গাড়িটির। দুর্ঘটনায় কপালে মারাত্মক আঘাত পান হেমা। সংঘর্ষের প্রভাবে গাড়ির পেছনের সিট থেকে সরে গাড়ির ভিতরের সামনের দিকে ছিটকে পড়লে তার কপাল ফেটে যায়। আর মারুতিতে থাকা চার বছর বয়সী শিশু সোনম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া গাড়িটির আরো তিন ব্যক্তি আহত হন।
এদিকে, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং অবহেলায় এক শিশুকে হত্যার দায়ে পরদিন শুক্রবার গ্রেফতার হন হেমা মালিনির গাড়ির চালক। সোনম নামে ওই শিশুর বাবা এফআইআর দায়ের করলে মহেশ চাঁদ ঠাকুর নামে ওই চালককে আটক করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ। পরে অবশ্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানো হলে ওইদিনই জামিনে মুক্তি পান মহেশ।
অভিনেত্রী হেমার গাড়ির চালকের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে শিশু সোনমের বাবা হনুমান মহাজন জয়পুরের কোতোয়ালী পুলিশ স্টেশনে চালক রমেশের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন। আইপিসির ২৭৯ [বেপরোয়া গাড়ি চালানো] ও ৩০৪ ধারায় [অবহেলার কারণে মৃত্যু ঘটানো] মহেশের বিরুদ্ধে এফআইআরটি নিবন্ধন করেছিলেন সোনমের বাবা। এর পেক্ষিতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গাড়ি দুটিকেও জব্দ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/৪ জুলাই ২০১৫/শরীফ