২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান মামলায় সালমান খানকে বেকসুর খালাস করে বম্বে হাইকোর্ট৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্র সরকার। এই মামলার শুনানির সময় আরও একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন বলিউড তারকা সালমান খান। মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার দিন সালমান খান অভিযোগ করে বলেন, এই মামলায় অন্যায়ভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিন সুপ্রিমকোর্টে পেশ করা জবাবে সালমান বলেন, ঘটনার দিন চালকের আসনে ছিলেন না তিনি। মত্ত অবস্থাতেও ছিলেন না। তাঁর দাবি, ওই দিন রাতে গাড়ি চালাচ্ছিল তাঁর চালক অশোক সিং। দুর্ঘটনার পর অশোকই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে খবর দেন। এমনকী বয়ান নথিভুক্ত করতে থানাতেও যান তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁর বয়ান নেওয়া হয়নি। পুলিশ জানায়, সালমান খানকে গ্রেফতার করার জন্য তাদের উপর চাপ রয়েছে।
সালমান খান আরও জানান, তিনি এবং তাঁর দেহরক্ষী রবীন্দ্র প্যাটেল ছাড়াও ঘটনার রাতে গাড়িতে ছিলেন ড্রাইভার অশোক সিং এবং গায়ক কামাল খান। যাঁদের বয়ান কোন দিনই রেকর্ড করেনি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, মামলাটি বম্বে হাইকোর্টে ওঠার পর আইনজীবীরা জানান, কামাল নাকি আদালতের তলবে সাড়া দিচ্ছেন না। সাড়া না দেওয়ার আসল কারণ ছিল, কামাল খানকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ভুল ঠিকানায়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মুম্বই বেকারির সামনে সালমানের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তি। গত বছর মে মাসে এই মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। কিন্তু নিম্ন আদালতের এই রায় খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। সালমনের পাঁচ বছরের সাজাও খারিজ করে দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত জানায়, আইনজীবীরা সালমানের বিরুদ্ধে কোনও শক্ত প্রমাণ পেশ করতে পারেননি। সালমানকে বেকসুর খালাস করার পরই নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ চাপের মুখে বম্বে হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় মহারাষ্ট্র সরকার৷
বিডি-প্রতিদিন/০৬ এপ্রিল, ২০১৬/হিমেল