পিঙ্ক’এর প্রচার করতে গেয়ে অমিতাভ বচ্চন অনুষ্ঠানের শুরুতেই উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গিহানায় নিহত ১৭ জন সেনার স্মরণে নীরবতা পালন করলেন।
তারপর অমিতাভের কথায় উঠে এল লিঙ্গবৈষম্যের প্রসঙ্গটি, 'বাড়িতে ছোট মেয়ে থাকলে তাকে পুতুল কিংবা রান্নাবাটি উপহার দেওয়া হয়। ছেলেকে দেওয়া হয় রেসিং কার! বৈষম্যের শুরু সেখান থেকেই। আমরা ধরে নেই মেয়েদের পছন্দের রং গোলাপি, আর ছেলেদের নীল। পার্থক্যটা কে করে দিয়েছে? ছবির নাম ‘পিঙ্ক’। শব্দটা মেয়েলি নয়, বরং এখানে মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রতিবাদের প্রতীক।'
তবে বৈষম্য কমছে বলে আশাবাদী অমিতাভ। তাঁর কথায়, 'আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন একজন বা দুজন মেয়ে সেট’এ কাজ করত। এখন ইউনিটের প্রতিটা ডিপার্টমেন্টেই অল্পবয়সি মেয়েরা কাজ করছে। যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে! আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন মহিলারাই!' পুরুষরাই সব ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন- এই ধারণায় পরিবর্তন আসছে, মনে করছেন অমিতাভ। সাম্প্রতিক উদাহরণ, অলিম্পিক্স। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে মেয়েদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, পরামর্শ অভিনেতার। ‘না’ বলতে জানতে হবে।
তিনি বলেন, দিল্লির সেন্ট্রাল পার্কে একজনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেদিন আমরা ছবির প্রচারে দিল্লিতেই ছিলাম। অনেকেই এইসব ঘটনা দেখলে এড়িয়ে চলে যান। কারণ, ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার ভীতি। পুলিশ কিংবা প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় যদি! তবে দেশের আইন বদলাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মানসিকতাও পাল্টাচ্ছে। ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’এর মতো প্রকল্পগুলো এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার