এ বছর বলিউডে মুক্তি পাওয়া 'সুলতান' ছবিটি বক্স অফিস থেকে উঠিয়ে নিয়েছে ৬০০ কোটি রুপি। ছবির পরিচালকের নাম সব বলিউডপ্রেমীদেরই মুখস্থ থাকার কথা। আলী আব্বাস জাফর। এ উঠতি পরিচালক ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের জোর ছিল না। ছিলনা কোনো চেনাশোনা প্রভাবশালী ব্যক্তিও। শুধু মেধা আর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে পর পর ছক্কা মারছেন বক্স অফিসে। বর্তমানে আলীর বয়স ৩৬।
২৪ বছরে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' বানিয়েছিলেন আদিত্য চোপড়া। ৩৫ বছর বয়সে 'দিল চাহতা হ্যায়' বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মাল্টিট্যালেন্টেড ফারহান আখতার। ওই বয়সেই 'ডন' আর 'লক্ষ্য' বানিয়েছিলেন তিনি। ওই একই বয়সে 'কাভি খুশি কাভি গম' আর 'কাভি আলবিদা না কেহ না' সিনেমা বানিয়েছেন করণ জোহর। ৩০ বছরে 'ওয়েক আপ সিড', 'ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি' বানিয়ে দর্শকের মন করেছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়। অনেক তো হলো। তবে এবারের আলোচনা শুধু আলী আব্বাস জাফরকে নিয়ে।
'মেরে ব্রাদার কি দুলহান', 'গুন্ডে' ছবির পরিচালনা করে আলী আব্বাস জাফরের বলিউডে প্রবেশ। তবে খুশি ছিলেন না আলি। এরপর সালমান খানকে নিয়ে সুলতান তৈরি করে তার প্রত্যাশিত সাফল্য ধরা দিয়েছে। 'সুলতান' বানাতে গিয়েও হোঁচট খেতে হয়েছিল আলি আব্বাস জাফরকে। ২০১২ সালের অলিম্পিকে রুপা জিতেছিলেন কুস্তিগীর সুশীল কুমার। সেই থেকেই মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে, কুস্তি নিয়েই এবারের একটি ছবি বানাতে হবে। কোনও পদকজয়ী কুস্তিগীরের কাহিনি নয়, জীবনের লড়াইয়ের সঙ্গে দেশের ক্রীড়া ব্যবস্থার দিকেও তাক করেছিলেন। ১০ পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন আদিত্য চোপড়াকে। সেই সময় আদিত্য বলেছিলেন, "ইয়ার, রেস্টলার-ওয়ালি পিকচার কউন দেখেগা!" ছবি রিলিজ করার পর সাত সকালে আলির কাছে ফোন এসেছিল সেই আদিত্য চোপড়ার।
৩৬ বছর বয়সী এই তরুণ পরিচালকের বাবা ছিলেন একজন সেনা। দেরাদুন থেকে দিল্লি ইউনিভার্সিটি হয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি দেন আলি। বলিউডে নিজের ট্যালেন্টের ছাপ রাখতে প্রথমে কাজ শুরু করেন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। ২০০৬ সালে ব্রেক পান বলিউডে। 'ঝুম বরাবর ঝুম' ছবির পরিচালক শায়াদ আলির অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন আলি। তারপর বহুদিন ধরে যুক্ত ছিলেন আদিত্য চোপড়াদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ স্টুডিও-র সঙ্গে। সেই যশ রাজের ব্যানারেই এবার সালমানকে নিয়ে 'এক থা টাইগার' সিক্যুয়েল বানানোর গুরুভার পড়েছে আলী আব্বাস জাফরের ওপর।
বিডি প্রতিদিন/৬ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা