একটা বিজ্ঞাপন তৈরি একটা সিনেমা তৈরির চেয়ে কম পরিশ্রমের নয়। আর এই ২০-৩০ সেকেন্ডের একটা কর্মাশিয়াল বিজ্ঞাপন অনেক কথা বলে৷ সামান্য কয়েকটি কথা আর ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে হয় একটা পণ্যের বিস্তারিত৷ তাই বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য অনেক সময়ই এমন কিছু ছবি-দৃশ্য তুলে ধরতেই হয়৷ কিন্তু কোন কোন সময় সেই সমস্ত দৃশ্য শালীনতাকেও ছাপিয়ে যায়৷
এই সমস্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে দেশ-বিদেশে কম বিতর্ক হয়নি৷ অনেক ক্ষেত্রে আবার এই সমস্ত বিজ্ঞাপন দেখানোর ছাড়পত্রও মেলেনি৷ কিন্ত এই বিজ্ঞাপনগুলির কাজ রীতিমতো অতুলনীয়৷ আর এই বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ খোলামেলা হতে হয়েছে তারকাদের৷ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের৷ এমনই কিছু বিজ্ঞাপনে বিতর্কিত আট সেলিব্রেটির কথা তুলে ধরা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে-
১। পূজা বেদি-মার্ক রবিনসন-
১৯৯১ সালে একটি কনডোমের অ্যাড শুট করেছিলেন পূজা ও মার্ক। যেখানে একসঙ্গে গোসল করতে দেখা গিয়েছিল এই নায়ক-নায়িকারে। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে উঠেছিল। ভারতীয় টেলিভিশনের দুনিয়ায় এই বিজ্ঞাপনটিকে বোল্ড আখ্যা দেওয়া হয়। দূরদর্শন থেকে এই অ্যাডটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২। আরবাজ খান ও মলিকা আরোরা-
১৯৯৩ সালে একটি কফির বিজ্ঞাপনে ঝড় তুলেছিলেন এই দম্পতি। এই অ্যাডটিতে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে ক্যামেরায় বন্দি হয় তারা। এছাড়া অ্যাডটিতে একটি লাইন ছিল, "সত্যিকারের আনন্দ কখনই চট করে অনুভব করা যায় না।" তাই অনেকের মতে বিজ্ঞাপনটি একসঙ্গে সমাজকে দু’টি বার্তা দিচ্ছে। তাই ব্যান্ড করে দেওয়া হয়েছিল অ্যাডটি।
৩। মধু ও মিলিন্দ-
১৯৯৫-এ একটি জুতোর কর্মারশিয়ালে নগ্ন হয়ে অ্যাট শুট করেছিলেন মধু ও মিলিন্দ। যেখানে তাদের গায়ের উপর ছিল একটি পাইথন। আর এই অ্যাডের পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। মধুর বাড়ির সামনে পোস্টার ছিড়ে ফেলে রেখে আসা হয়। শুধু তাই নয় পোস্টারের উপর কাপড়ও জড়ানো হয়। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়। এই মডেলের উপর পশু রাইট-এর অভিযোগ আনা হয়। তারপর বন্ধ করে দেওয়া হয় এই বিজ্ঞাপনটি।
৪। বিপাশা বসু ও ডিনো মরিয়া-
১৯৯৮ সালে একটি আন্তর্জাতিক অন্তর্বাসের অ্যাড শুট করেছিলেন তৎকালীন এই লাভবার্ডস। যেখানে ডিনোকে দেখা গিয়েছিল বিপাশার অন্তর্বাস দাঁত দিয়ে টানতে। যা সাধারণ মানুষ তো দূরের সমালোচিত হয়েছিল মন্ত্রী মহলেও। যার ফলে অচীরের বন্ধ হয়ে যায় এই বিজ্ঞাপন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১