সঞ্জয় দত্ত। বলিউডের অ্যাকশন অভিনেতাদের মধ্যে একজন। বাস্তব জীবনেও অনেকটা অ্যাকশনধর্মী চরিত্রের এ অভিনেতা। কিছুদিন আগেই মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সঞ্জয়। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন।
ক্যামব্যাক ছবি ‘ভূমি’ বক্স অফিসে তেমন না চললেও সঞ্জয়ের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। এর মধ্যেই ফের আইনি ঝামেলায় ফাঁসলেন সঞ্জয় দত্ত। নিজের নতুন ছবি ‘দ্য গুড মহারাজা’ ছবির জন্য এই বিপাকে পড়লেন বলিউডের মুন্না ভাই।
‘ভূমি’ ছবির পরিচালক উমঙ্গ কুমারের সঙ্গেই ফের জুটি বেঁধেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। জানা যায়, পর্দায় মহারাজা জাম সাহেব শ্রী দিগ্বিজয় সিংজি রণজিৎ সিংজির চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন তিনি। পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন নওয়ানগরের এই মহারাজা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যিনি কয়েকশো পোলিশ উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছিলেন নিজের উদ্যোগে। এক বছর ধরে মহারাজার জীবনকে পর্দায় তুলে ধরার কাজ করছিলেন উমঙ্গ। সঞ্জয়ের প্রথম ঝলকও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। কিন্তু এরপরই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মহারাজার উত্তরসূরিরা। মহারাজার দুই কন্যা হেরশাদ কুমারী ও হিমাংশু কুমারীর তরফ থেকে ছবির নির্মাতাদের আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
যাতে দাবি করা হয়েছে, মহারাজা জাম সাহেব শ্রী দিগ্বিজয় সিংজি রণজিৎ সিংজি একজন পাবলিক প্রোফাইল। তাঁর জীবনের কাহিনি এভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার আগে প্রযোজকদের উচিত ছিল মহারাজার উত্তরসূরিদের অনুমতি নেওয়া। কিন্তু তেমন কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। মহারাজার পরিবারের অনুমতি ছাড়া এ ছবি তৈরি করা হলে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রযোজক সন্দীপ সিং। এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানান, ‘দিগ্বিজয় সিংজি রণজিৎ সিংজির কাহিনি লোকের মুখে মুখে ফেরে। তিনি একজন জনপ্রিয় মানুষ। এখনও পোল্যান্ডে তাঁকে সম্মান জানিয়ে ‘মহারাজা ডে’ সেলিব্রেট করা হয়। আমার মনে হয় না তাঁর জীবন পর্দায় তুলে ধরার জন্য কারও অনুমতি প্রয়োজন। তাও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অবশ্য সঞ্জয়ের এই সিনেমার ক্ষেত্রে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে শোনা গিয়েছিল এ ছবির কাহিনির উপর নাকি নজর ছিল আশুতোষ গোয়াড়িকরের। কিন্তু আগেই কাহিনির স্বত্ত্ব নিয়ে নেন উমঙ্গরা। এতে নাকি একটু ক্ষুব্ধই হয়েছিলেন আশুতোষ। তবে তা এখন অতীত। এখন প্রযোজকদের মাথাব্যথার কারণ মহারাজার উত্তরসূরিরা। এ বিষয়টি নিজের সহ-প্রযোজক বিকাশ বর্মার উপরই ছেড়ে দিয়েছেন সন্দীপ। কারণ বিকাশের পোল্যান্ডে একটি অফিস রয়েছে। তাই তিনি এই বিষয়ে বেশি ভাল নজর রাখতে পারবেন। সন্দীপ ও উমঙ্গ এদিকে ছবির ক্রিয়েটিভ কাজ গুছিয়ে নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান