১. লিওনা গেজ, মিস আমেরিকা ১৯৫৭ : একবার ডিভোর্স এবং পরে ফের বিয়ে করলেও দুই সন্তানের মা লিওনা গেজ নিজেকে ‘ভার্জিন’বলে মিথ্যা দাবি করেছিলেন। বয়স ২১ হলেও মিথ্যে তথ্য দিয়ে বলেছিলেন তাঁর বয়স ১৮।
মিস আমেরিকা খেতাব পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি মুকুট হারিয়েছিলেন।
২. মারজোরি ওয়ালস, মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৭৩ : আমেরিকার প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড মারজোরি ওয়ালস। বিজয়ী হওয়ার পর জানা যায়, তিনি ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার পিটার রেভসনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। প্রতিযোগিতার মৌলিক শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়ে ১০৪ দিন পর মুকুট কেড়ে নেওয়া হয় ওয়ালসের।
৩. গ্যাব্রিয়েলা ব্রাম, মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৮০ : জার্মান সুন্দরী গ্যাব্রিয়েলা ব্রাম ১৯৮০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জিতেছিলেন। বিজয়ী হওয়ার পর দিন বয়ফ্রেন্ডের আপত্তির কথা বলে ব্রাম মুকুট ফিরিয়ে দেন। পরবর্তী সময় জানান, মিডিয়ার চাপ সহ্য না করতে পেরেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত।
৪. ভেনেসা উইলিয়ামস, মিস আমেরিকা ১৯৮৪ : ভেনেসা উইলিয়ামস ছিলেন প্রথম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান, যিনি ১৯৮৪ সালে মিস আমেরিকা খেতাব পেয়েছিলেন। মিস আমেরিকা খেতাব জয়ের কয়েক মাস পর, একটি পত্রিকায় তাঁর নগ্ন ছবি প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনার পরই তাঁর মুকুট কেড়ে নেওয়া হয়।
৫. অক্সানা ফেদেরোভা, মিস ইউনিভার্স ২০০২ : প্রথম রাশিয়ান হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট পান অক্সানা ফেদেরোভা। আইনের শিক্ষার্থী পড়াশোনায় এতই ব্যস্ত ছিলেন যে বিজয়ী হওয়ার পর মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভ্রমণসূচি মেনে চলতে পারছিলেন না। ফলে অক্সানা ফেদেরোভার মুকুট ফেরত নেওয়া হয়।
৬. ইতির ইসেন, মিস তুর্কি ২০১৭ : তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছিলেন ইতির ইসেন। টুইটারে ১৫ জুলাইয়ের শহিদ দিবসকে তাঁর পিরিয়ডের রক্তের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। তবে টুইটটি তিনি করেছিলেন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার আগেই। কিন্তু সেই টুইটের জেরেই তাঁর মুকুট হারাতে হয়।
৭. জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭ : নিজের বিয়ের খবর গোপন রেখে মুকুট হারান জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন