১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৪৯

খান আতার প্রয়াণ দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক

খান আতার প্রয়াণ দিবস আজ

খান আতাউর রহমান

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, গায়ক, গীতিকার ও সুরকার খান আতাউর রহমানের ২৩তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার একক কোন পরিচয় নেই। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, প্রযোজক, সংলাপ রচয়িতা, কাহিনীকার। তবে এতসব পরিচয়ের মধ্যে আলাদা করে উজ্জ্বল হয়ে আছে একজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের পরিচয়।

শিল্পের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম বলে পরিচিত চলচ্চিত্রে যত রকমের গুণ দরকার, সবই ছিল তার মধ্যে। একজন কমপ্লিট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতা সব প্রজন্মের জন্যই আইকন।

শৈশব থেকে আমৃত্যু বর্ণিল জীবনে রেখেছেন সৃষ্টিশীলতার সাক্ষর। চলচ্চিত্র, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক মিলিয়ে তিনি প্রায় ৫০০ গানের রচিয়তা, করেছেন বহু গানের সুর, দিয়েছেন কণ্ঠ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার।   

পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস অবলম্বনে উর্দুতে নির্মিত 'জাগো হুয়া সাভেরা' সিনেমার নায়ক হয়ে স্বপ্নের জগতে অভিষেক, তখন তিনি আনিস নাম ধারণ করেন। 

এদেশ তোমার আমার, ফিরে দেখাসহ বেশ কয়েকটি সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন আনিস ওরফে খান সাব।  

১৯৬৭ সালে খান আতা নির্মাণ করেন বাংলার প্রথম জীবনীভিত্তিক সিনেমা 'নবাব সিরাজোদ্দৌলা', যার সুরকারও ছিলেন তিনি।

১৯৭০ সালে জহির রায়হানের নির্মিত বাংলার কালজয়ী সিনেমা 'জীবন থেকে নেয়া'।  এতে খান আতার অভিনয়, গানের কথা ও সুর এখনো জীবন্ত। 

মুক্তিযুদ্ধ আর যুদ্ধ পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন কালজয়ী সিনেমা 'আবার তোরা মানুষ হ'। 

১৯৭৫ সালে খান আতাউর রহমান প্রমোদ কর ছদ্ম নামে নির্মাণ করেন সুজন সখী।  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হোন খান সাব। 

খান আতা পরিচালিত সবশেষ সিনেমার নাম এখনো অনেক রাত।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর