২৭ মে, ২০২২ ১২:৩৯

পল্লবী-বিদিশার বান্ধবী মঞ্জুষার রহস্যমৃত্যু, যা বললেন মা

অনলাইন ডেস্ক

পল্লবী-বিদিশার বান্ধবী মঞ্জুষার রহস্যমৃত্যু, যা বললেন মা

অভিনেত্রী মঞ্জুষার মা (বামে) ও মঞ্জুষা

“বিদিশার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। বিদিশার মৃত্যুর পর অবসাদে ভুগছিল। আমাকে বলেছিল- ‘আমিও মরে যেতে চাই। আমি চলে যাব, তোমরা শান্তিতে থেকো।’ মৃত্যুকে ইয়ার্কি ভেবেছিল। ওর প্রচণ্ড রাগ ও জেদ ছিল। ছয় মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল।”

কথাগুলো বলছিলেন পল্লবী-বিদিশার বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর মা। শুক্রবার সকালে মঞ্জুষার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঞ্জুষার মা আরও বলেন, “আড়াই মাস আগেও ঝাঁপ দিতে গিয়েছিল ও। জামাই ওকে বাঁচিয়েছিল। জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না। কালও বারবার বলছিল, আমিও মরে যাব। শেষপর্যন্ত আমার বাড়িতেই আত্মহত্যা করল।”

তিনি বলেন, “মডেলিং ও সিরিয়াল করত মঞ্জুষা। তবে এখন তেমন কোনও কাজ ছিল না। রেস্তোরাঁয় খেতে ভালোবাসত। কালও বাঘাযতীনে ফটোশুট করে আসে। রাতে খাওয়া-দাওয়াও করে। রাতে ও অনেক দেরি করে ঘুমাতো। রাত দুইটা-আড়াইটা পর্যন্ত ফোনে গল্প করত। কালও সারারাত ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে।”

মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদার ও পল্লবী দে’র বান্ধবী ছিলেন মঞ্জুষা নিয়োগী। মঞ্জুষা নিজেও একজন মডেল। সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন। মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছিলেন বহুদিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলের ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। বুধবার নাগেরবাজারে ফ্ল্যাটে বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর, শুক্রবার সকালে পাটুলি বাড়িতে মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গত ১৫ মে সকালে দক্ষিণ শহরতলির গড়ফার আবাসন থেকে অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

জানা গেছে, বেডরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। সম্ভবত রাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। সকালে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে মঞ্জুষার ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর