শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো পদাতিক নাট্য সংসদের নাটক ‘পাকে বিপাকে’।
শুক্রবার ছুটির দিনের সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। এটি দলের ৪৩তম প্রযোজনা।
মনোজ মিত্রের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সঞ্জীব কুমার দে।
নিঝুম রাতে গ্রামের আল পথ ধরে কাঁপা গলায় গান গেয়ে এগিয়ে আসছে হাবলা জনার্দন। হঠাৎ তার আর্তচিৎকারে কেপে ওঠে বিলের চারধার। যেন বিষাক্ত সাপ দিয়েছে ছোবল। জনার্দন চিৎকার করে দৌড়ে ছুটে যায় এক লণ্ঠনের আলো বরাবর। যেখানে মুরিঝুড়ি দিয়ে বসে আছে একজন। জনার্দন তার কাছে যতই সাহায্য চায় ফিরে তাকায় না সে বরং ইশারায় তাকে চলে যেতে বলে।
হাবলা জনার্দন ইশারা বোঝে না, সে ক্ষতের জ্বালায় গ্রামের জোয়ার্দার নবকৃষ্ণ বাবুর কুকীর্তির বয়ান ক্রমাগত পেশ করতে থাকে। এই নবকৃষ্ণের জন্যই তিন বছর লালন পালন করা গরু কসাইয়ের কাছে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছে সে, নয়তো এই গরু নিজের বাড়ি নিয়ে যেত নবকৃষ্ণ। ক্ষতের জ্বালা বাড়ে কমে, বারবার সাহায্য চেয়েও না পেয়ে ক্ষেপে গিয়ে কাঁথা ধরে টান দেয় জনার্দন। ফলে উন্মোচিত হয় অবগুণ্ঠনে থাকা নবকৃষ্ণ বাবু। যে কিনা নিজের জমিতে টহল দিচ্ছিলো বর্গাদারকে ফাঁকি দিয়ে ধান লুট করবে বলে।
জনার্দন নাছোড়বান্দা, সে তার মহাজনকে গালাগাল করেছে তাই ক্ষমা না পাওয়া পর্যন্ত সে এই স্থান ছেড়ে যাবে না। আবার ওই দিকে বর্গাদার পান্তু দাস চলে এসে ধান লুট ঠেকিয়ে দেয় কি না সেই ভয়ে নবকৃষ্ণ অস্থির। কোনো ক্রমে জনার্দনকে সরায় সে। আবার অপেক্ষা। পান্তুর ভাই ডালিম উপস্থিত হয়। এই ডালিম নবকৃষ্ণের হয়ে অনাবাদী জমিতে ফলানো ধান লুট করবে তার লোকজন সমেত।
নবকৃষ্ণ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে দাঁড় করায়। অন্ধকার ফুড়ে বেড়িয়ে আসে দুর্বা, গ্রামের সবাই জানে সে হলো নবকৃষ্ণের পালিত রক্ষিতা। তবে আজ রাতে এই বিলের ধারে তার উপস্থিতি নবকৃষ্ণের বন্দুক লুট করে পান্তুকে সাহায্য করা। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, ইমরান খান, এখলাসুর প্রান্ত প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন