বিমান থেকে নেমে টার্মিনালের ভেতরে ঢুকতেই কান্না আহজারির শব্দ পেলাম। টাঙ্গাইলের রফিকুল আট বছর পর সৌদিতে গিয়েছিল। কিন্তু পরদিনই তাকে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সাড়ে ৭ লাখ টাকা তার খরচ হলো। একথা বলতে বলতে সে কাঁদছিল। কিন্তু তার কান্না শোনার কেউ নেই সেখানে। বার বার বলছিল, এখন আমার কি হবে? কোন মুখে আমি বাড়ি ফিরব? কিভাবে এতো টাকার ঋণ শোধ করব।
রফিক জানালো তার মতো একই পরিণতি আরো তিনজনের। এর ভিতরে আছে দুই মহিলা কর্মী। রফিকের আহাজারি দেখে মন খারাপ করে ইমিগ্রেশনের দিকে রওনা হলাম। হয়তো প্রতিনিয়ত রফিকের মতো আরো অনেকের চোখের পানিতে বিমানবন্দর সিক্ত হয়। কেউ কি সেটা দেখে? অথবা দেখার কেউ আছে?
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব