শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২০, বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ আপডেট:

'ঢাকা অ্যাটাক'র আয় এবং প্রসেনজিত প্রসঙ্গ...

দীপঙ্কর দীপন
অনলাইন ভার্সন
'ঢাকা অ্যাটাক'র আয় এবং প্রসেনজিত প্রসঙ্গ...

ভেবেছিলাম বিষয়টা নিয়ে লিখব না। ঢাকা অ্যাটাক কি ব্লকবাস্টার ছবি, সুপারহিট ছবি, হিট ছবি নাকি ফ্লপ ছবি, কতটুকু সত্যবাদিতা ছিল ঢাকা অ্যাটাকের আয় সম্পর্কিত তথ্যে, সেগুলো নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তার পরেও ভেবেছিলাম থাক কিছু বলব না এ নিয়ে। অতীত নিয়ে কথা বলব, নাকি ভবিষ্যত নিয়ে কাজ করবো। পরেরটাই বেশি জরুরী মনে হয়েছিল।

চরম ব্যস্ততায় দিন চলছে। এর মধ্যে এক খুব কাছের সম্ভাবনাময় ছোট ভাইয়ের ফোন, হোয়াটস্যাপে, বলল, 'দাদা যদি আপনার জন্য না ও লাগে প্লিজ কিছু আমাদের জন্য হলেও বলেন। যেই ১৫-৩৫ বছরের নতুন সিনেমা দর্শকদের পুঁজি করে - বিশ্বাস করে ঢাকা অ্যাটাক বানিয়েছিলেন বলে ইন্টারভিউএ বলেছিলেন, যারা ঢাকা অ্যাটাককে ৪ মাস ধরে সিনেমা হলে চালাল, এখনও চালাচ্ছে। যাদের আগ্রহের কারণে, ভালবাসার কারণে, লেখালেখির কারণে বিশ্বের ১৭টি দেশের ৫১টি শহরের মানুষ ঢাকা অ্যাটাক দেখতে চেয়েছে। এখনও দেখতে চাইছে। টিভি রাইটস বিক্রি হয়েছে একটা বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে এবং আরেকটি চ্যানেল রিলিজে পর তার ডাবল মূল্য অফার করেছে। অক্টোবর থেকে বাংলাদেশকে মাতিয়ে রেখেছে যে সিনেমা, গত বছর ফেসবুকে যে ৫টি বিষয় নিয়ে ফেসবুকে বেশি কথা হয়ে- তার মধ্যে একটি ঢাকা অ্যাটাক। পত্র-পত্রিকা হলের বরাত দিয়ে নিউজ করেছে- ঈদ ছাড়াই ঈদের সেল। সেই ছবির প্রডিউসারের কিভাবে দেড় কোটি টাকা লস হয়? আপনি কি অনেক বেশি খরচ করে ফেলেছিলেন?'

যখন একথা বলে, মনে মনে হাসি। মনে পড়ে যায় কলকাতায় আমার আর ফয়সালের বাথরুম পরিষ্কার করার দিনগুলোর কথা। পোস্ট প্রোডাকশনের কারণে তিন মাস কলকাতাতে থাকতে হয়েছিল। কারণ এতে গ্রাফিক্সের কাজ ছিল প্রচুর। প্রায় ২৩ মিনিটের মত ২৭০০ ফ্রেম। কোলকাতায় ২ জন থাকতে গেলে ৩,০০০ টাকার কমে কোন নিরাপদ সামাজিক হোটেল পাওয়া যায় না। ৯০ দিনে প্রায় ২,৭০,০০০ টাকা লাগবে। এটা বাঁচানোর জন্য আমরা মাসিক ১৫,০০০ টাকা দিয়ে অখ্যাত জায়গায় একটা ২ কামরার বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম। সে বাড়ির অবস্থা ছিল সেইরকম, এসি ছিল, সেই এসির ৫ জায়গা দিয়ে জল পড়ত এসি চলত না। আরেকটি ঘরে কোন জানালা নেই, প্রচণ্ড গরম। যেখানে ফয়সাল ঘুমাত। বাথরুমে পানি আটকে যেত। আমি আর ফয়সাল মিলে বিগ বাজার থেকে বাথরুম পরিষ্কার করার জিনিসপত্র নিয়ে এসে বাথরুম পরিষ্কার করতাম। যেটা আমরা কখনো এখানে করিনি। কয়েকবার আমার বউ এসে কাপড়-চোপড় বিছানা-পত্র পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে। হোটেলের মতো সারভিস কোথায়?

আমার টিম সবসময় বাসে করে আসত। ফয়সাল একবার আমাকে না বলে প্লেনের টিকিট কেটে ছিল বলে রাগে আমি ওর সাথে ৭ দিন কথা বলিনি। ভাই খরচটা বাড়লে কিন্তু প্রোডাকশন কস্টে গিয়েই পড়বে। আমিও ২/৩ বার বাসে এসেছিলাম ওদের সাহস দেওয়ার জন্য কিন্তু ব্যাকপেইনে কাহিল হয়ে তিনদিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছিল। অরুপকে কত কষ্ট দিয়েছি টাকার জন্য। বারবারই আমাকে বলা হয়েছে নাটকের নির্মাতারা নাকি বাজেট বেশি খরচ করে ফেলে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ঢাকা অ্যাটাকে সেটা যেন না হয়, আমাদের কষ্ট হয় হোক, এমনকি সিনেমার ক্ষতি হয় হোক। আমার প্রডিউসার বাঁচলে আমি পরের ছবি করার ‍সুযোগ পাব। প্রডিউসার আমার কাছে সিনেমার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

তাই ঢাকা অ্যাটাকের লাস্ট পার্ট শ্যুট করেছিলাম অনেকটা সস্তা সিরিয়াল শ্যুট করার স্টাইলে। সস্তা সিরিয়ালগুলোয় যেমন একই দিনে আর্টিস্ট টানাটানি করে তিন ক্যামেরায় তিনটা জোন করে কাজ হয়। একই আর্টিস্টদের টানাটানি করে ঢাকা অ্যাটাকের অনেক দিনের শ্যুট এভাবে হয়েছে, খরচ কমানোর জন্য। ঢাকা অ্যাটাকের অনেক সিনের শ্যুট হয়েছে 5D ক্যামেরা দিয়ে। মানে সিনেমার যে বেসিক শ্যুটের একটা নিয়ম আছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে হাজারটা মিস ম্যানেজমেন্টের মধ্যেও যেন শিডিউলড ডেটে সঠিক সময়ে, কোয়ালিটি নস্ট না করে সিনেমাটা শেষ করার জন্য জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করেছিলাম।

আমাদের এই কাজের চাপ, সমঝোতা করার মানসিকতা এবং আমাদের এরকম কাজের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে কোন ডি ও পি আমার সাথে পরের লটে কাজ করতে রাজি হয়নি। ডিওপি বদলাতে হয়েছে। সৌভিক নিয়ে লাস্ট লটটা কুত্তার মত খেটে আমরা শেষ করি। আমরা ঢাকা অ্যাটাকটা নির্দিষ্ট ডেটের তিনদিন আগে শ্যুট শেষ করি। এবং গানটা খুবই অন্যরকম ভাবে শ্যুট করার প্লান ছিল। শুভ, মাহি, নওশাবা, এ বি এম সুমন, শতাব্দী সবাইকে নিয়ে। ডেট ও নিয়ে রেখেছিলাম। করতে পারিনি। যেন বাজেটটা ক্রস না করে। সেটা বাজেট ক্রস করে কীভাবে এত টাকা হয়ে গেল?

এতটাকা খরচ করতে পারলে কি আমাকে এত কষ্ট করতে হয়, কালারিস্ট এর কাছে ছোট হতে হয়, মাল্টিকালার, মাল্টিকোয়ালিটি ফুটেজের জন্য। সে বিষয়টা নিয়েও আমি কখনো কিছু বলতে চাইনি। তারা আমার প্রথম ছবির প্রডিউসার। সারা জীবন আমি তাদের কে মাথায় করে রাখব। যতদিন পর্যন্ত আমার কাছে শেষ শক্তিটুকু আছে, যেভাবে পারি তাদের কাজে আসবো । তাদের সাথে কাজ করা হোক আর না হোক। আমার সবটুকু দিয়ে আমি তাদের সেবা করে যাব সবসময় যদি তারা চায়। একটা নতুন ঘোড়ার উপর বাজি ধরেছিল তারা। তাদের সবকিছু আমি মাথা নত করে নিলাম। কিন্তু কথা বলা দরকার আসলে বাজার নিয়ে। ওটা ভীষন জরুরি। ঐ যে সবার স্বার্থের বিষয় তাই ক্ষমা বা পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত না।

বিশাল সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের সিনেমার বাজার- যেটাকে অনুধাবন করতে পেরে কোলকাতার মমতা ব্যনার্জী পর্যন্ত বড় কালচারাল টিম পাঠিয়েছিল সরাসরি বাজারটা খুলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে। অনেক বার এই ব্যাপারে কথা হয়েছে। সেই বাজারটাকে, আমাদের সম্ভাবনাময় বাজারটাকে কেন আমরা নিজেরা ছোট করছি? ইন্টারন্যশনাল সিনেমার যেই বিপণণ সিস্টেম আছে, শেয়ারিং সিস্টেম আছে , সে হিসাবে ঢাকা অ্যাটাকের প্রডিউসারের যেখানে ৭-৮ কোটি টাকা থাকার কথা, টিভি রাইটস এবং ইন্টারন্যাশনাল দিয়ে আরও বেশি। সেখানে সে কেন ২ কোটি টাকা পাবে? তাহলে বাকি টাকাটা কোন সিস্টেমে খায়? সিস্টেমের কোন ভূতে খায়? এগুলো ফোকাস হওয়া উচিত।

ঢাকা অ্যাটাককে ফ্লপ ছবি বানিয়ে কী লাভ হবে, তরুন সমাজ অংক দিয়ে ফেসবুকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। ঢাকা অ্যাটাকের যেই ক্রেইজ তৈরী হয়েছিল, সেই ক্রেইজকে ছোট করলে আমাদের কোন উপকার হবে না। বরঞ্চ এই ক্রেইজটা আমদের সাহসী হতে শেখায়। আপনার বাড়িতে যদি একটা খুব মিষ্টি একটা আম গাছ থাকে সেই আম গাছটির আম যদি পোকার কারণে পাকতে না পারে, আপনি কি করবেন তখন? আম পাকছে না দেখে রাগ করে গাছটি কেটে ফেলবেন? না পোকা দূর করবেন? কোনটা বুদ্ধিমানের কাজ? আপনারাই ভাবুন। বিষয়টা নিয়ে লেখা দরকার।

অনেক জায়গাতে ঢাকা অ্যাটাক অনেকভাবে ইনকাম করেছে। স্যাটেলাইট রাইটস, অনলাইন রাইটসও, ইন্টারন্যাশনাল ডিসট্রিবিউশন, স্পনসর , আরও কত কি? ঢাকা অ্যাটাকের পোস্টারের নিচে যে অসংখ্য লোগো দেওয়া আছে ওগুলো নিশ্চয়ই পোস্টারের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য দেয়া হয়নি। লেখাটা লিখতে অনেক তথ্য, উপাত্ত, অনেক মার্কেট সেল রিপোর্ট অনেক কিছু দরকার। কিন্তু এটার জন্য যে সময়টুকু দরকার সে সময়টুকু পাচ্ছি না। সময়টা কেন পাচ্ছি না তা বলি। একটা আশার গল্প শোনা যাবে হয়ত। দিন শেষে আমরা তো আশার গল্পই শুনে বেঁচে থাকি।

যে গল্পটা প্রসেনজিত চ্যাটার্জীকে কাস্ট করতে এসেছি, সেটার নাম যেহেতু ঠিক হয়নি, তাই আপাতত ধরি নাম প্রজেক্ট নায়িকা। সেই গল্পটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ গল্প। ঢাকা অ্যাটাকের রিলিজের দিন সাতেক পরেই ১৫ অক্টোবার থেকে ঢাকা অ্যাটাকের সাফল্য উদযাপন করার পরিবর্তে আমরা কাজে ডুবে গিয়েছিলাম। আমি, আসাদ জামান, শাহজাহান সৌরভ, হাসনাত বিন মতিন ৪ জন মিলে। আমাদের সুপারভাইজ করত জুয়েল ভাই এবং হায়দার ভাই। আমরা গল্পটা ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু করি। প্রথমে ডিজাইনটা করি। একটা আপাদমস্তক বাণিজ্যিক ( প্রচলিত ধারণা থেকে) গল্পকে ইন্টেলিজেন্টলি বলা আমাদের এই মুভির চ্যালেঞ্জ। সমকালীন ধারায় একটা সেমি মাসালা গল্পকে বলতে চেয়েছি- যে ধারায় এখন ড্যারেন আরফোনস্কি, টারানটিনো, চ্যান পাক উক, টিম মিলার, নোলান, বং জন হু, অনুরাগ কাশ্য রা গল্প দেখাচ্ছেন- সেই ধারাটাকে বাংলায় মেশালে কি হয়, তার একটা চেস্টা, কিন্তু বানিজ্যিক সফলতা সবার আগে।

৯০ থেকে ২০১৭ এর হার্ড রকের একটা জার্নি যে গল্পে পাওয়া যাবে। যে গল্পের ২য় নায়কের নাম রাফায়েল স্যানটি। ডিজাইন হয়ে গেলে শুরু হয় লেখার কাজ। সি-নে-মাসের চারজন মিলেই শুরু করেছিলাম। তারপরে একটা পর্যায়ের পরে অর্ক মোস্তফা জয়েন্ট করে, অর্ক আমার দীর্ঘ ১০ বছরের কাজের সাথী। পরে স্ক্রিপ্টটা ফাইনালি অর্ক এবং আমি মিলে লেখে ফেলি। ২০১২ সালে গল্পটা প্রথম মাথায় আসে যখন এসএটিভির রোকেয়া আপা একটা টেলিফিল্ম চেয়েছিল। গল্পটা লিখে ফেলার পর আর এসএটিভিকে দেইনি। মনে হয়েছিল এটা সিনেমার জন্য জন্ম হয়েছে, সেবার এসএ টিভিতে কাজ করা হয়নি, তাও গল্পটা রেখে দেই সিনেমার জন্য। কিন্তু তখন জানতামই না সিনেমা বানাতে পারব কি পারব না। ঢাকা অ্যাটাকের সেকেন্ড লটের শ্যুটের আগেই আসাদ জামানকে পেমেন্ট করেছিলাম চিত্রনাট্যের জন্য। ও তখন কাজও করেছিল। ২০১৪ সালে। এই যে এরকম ৫ বছর ধরে ছিলাম আমরা গল্পটার সাথে। এই গল্পটাতে বুম্বাদার (প্রসেনজিত) যুক্ত হওয়ার খুব দরকার ছিল। ডিরেক্টর হিসেবে ক্যারেক্টারের ডিমান্ড হিসেবে আমি যা বুঝি সেই জায়গাটার কারণে। এখানে একটি ক্যারেক্টারকে দুটি রোল প্লে করতে হবে- 

>একটিতে থাকবে ২৭/২৮ বছর বয়সের আন্ডারগ্রাউন্ড হার্ডরক ব্যান্ডের সাথে যুক্ত একটি বখে যাওয়া ছেলে। 
>অন্যটি ৫০ বছর বয়স্ক ইতালিতে চূড়ান্ত সফল একজন ব্যবসায়ী, যে একজন উদাসীন মাফিয়া এবং একজন কবি। 
>দুটো ক্যারেক্টারই চোস্ত ইংরেজি বলে, ভাল বাংলা বলতে পারে না। আমার ও আমাদের টিমের জানার জায়গা থেকে এপাশে বুম্বাদা আর ওপাশে আমির খান ছাড়া কাউকে পাইনি। আমির খানের কাছে পৌঁছাতে পারবো না, আর উনি বাংলা পারেনও না। এজন্য ভরসা ছিল বুম্বাদা। বুম্বাদা পছন্দ করে কী না করে, পছন্দ না করলে যেভাবে গল্পটা এতদিন ধরে ভেবেছে সেভাবে করতে পারবো না। এই গল্পটার ফরমেটটা চেঞ্জ করা আমাদের জন্য খুব মনোকষ্টের হবে এবং এতে ভয়ও ছিল সেটা হয়তো আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। আমার, অর্কের, হাসানাতের অনেক কষ্টের ফসল এই চিত্রনাট্য। তাই তৈরী হচ্ছিলাম বুম্বাদাকে গল্পটা শোনানোর জন্য। কারণ যারা তাকে চেনে তারা জানে, গল্পে পছন্দ না হলে তাকে দিয়ে কেউ কোন কাজ করাতে পারে না, কোন অনুরোধ বা চাপেই।

এর মধ্যে সায়কের বিয়ে। ও আমাদের ঢাকা অ্যাটাকের ইপি ছিল। বেশ রাতে কলকাতা থেকে রওয়ানা করেছি, বেশ দূরে। যেতে যেতেই রাত সাড়ে এগারটা বারোটা। খুব ইচ্ছে করছিল বিয়েটা পুরো থাকতে, কিন্তু পারিনি। কারণ দিন পরেই আমার সাথে বুম্বাদার পিচিং ছিল। অনেক কাজ বাকী ছিল, গল্পে একটা খটকা তখনও যায়নি। হাসানাতের ভাষায় মাস্টারস্ট্রোক নাকি আমার কাছ থেকে লাগবে, যে নাকি সবসময় লাস্ট মোমেন্টে এমনি এমনি আসে। গল্পে সেটারও অভাব বোধ করছিলাম। পিচিং নিয়ে একটা আমার মিনিমাম ট্রেনিং হয়েছিল ২০০৭ এ বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভাল এ, একজন খুব ভাল পিচ এক্সপার্ট এক দিনের একটা ট্রেনিং করিয়েছিল আমাদের সাতজনকে। যে ৭ জন তাদের প্রজেক্ট দিয়ে ৪২০০ জনের মধ্যে টিকেছিল। সেই জ্ঞান আর তো পিচটা ঝালাই করে নেওয়ার জন্য গাড়িতে যার সাথে আসছিলাম, সে আমার নতুন পরিচিত হবার পরেও তাকে গল্পটা শেয়ার শুরু করি। গল্পটা যখন শেষ হয় তখন শিয়ালদাহ পৌঁছে গেছি। আমরা প্রাইভেট কারে করে আসছিলাম।

গল্পটা শোনার পরে আমার প্রতি তার ইম্প্রেশন চেঞ্জ হয়ে গেল। সে বলল যে, ভাই একটু বসেন। আমার পক্ষ থেকে একটা চা সিগারেট খান-এটা আপনার গল্পটার জন্য। এই ধরনের কোন গল্প আমি শুনিনি কখনো বাংলা ভাষার কোন ছবিতে। পরের পরের দিন বুম্বাদার সাথে শেয়ার করা হল গল্পটা। গল্পটা শোনার ২০ মিনিটের মাথায় বুম্বাদা ফোনটা সাইলেন্ট করে দিলেন, রুমে কাউকে ঢুকতে মানা করে দিলেন এবং অফিসে যে গেস্টরা ছিল বলে দিলেন যে আজ দেখা করবেন না, পরে ফোনে যোগাযোগ করবেন। তারপরে আমাকে বললেন এবার বলতে থাকেন গল্পটা। পুরোটা শেষ করার পরে বললেন যে ছবিটা আমি করছি। এক দুই কথায় বললেন, সেই যে আপনার ১৫-৩৫ বছরের আধুনিক স্মার্ট বাংলা ছবির দর্শক, তারা পছন্দ করবে তো এই গল্প?

বিনয়ে বলি, বুম্বাদা যদি এটা বাংলাদেশের মতো করে বানাতে পারি তাহলে তারা পছন্দ করবে। কলকাতার মতো করে বানালে নেবে না। এক ফাঁকে 'ডু অর ডাই' নিয়ে কথা হচ্ছিল। বুম্বাদা হাসতে হাসতে বললেন, ডু অর ডাই তো অসাধারণ প্রোজেক্ট দীপন, এখানে কোন ভারতীয় অভিনেতা নেয়ার কোন স্কোপ নেই? আমি আরো বিনীত হয়ে বললাম যে, 'সরি বুম্বাদা। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ২৩-২৭ বছর বয়সী নয়জন দূর্দান্ত সাহসী মুক্তিযোদ্ধার গল্প এবং এটা একদম আমাদের দেশের পারফরমার নিয়ে করতে চাই। তার একদম আমাদের দেশে তৈরি আছে।'

বুম্বাদা খুব এপ্রিশিয়েট করল। ঠিক হলো ৯ তারিখে আবার বসতে হবে বাজেট হবে, শিডিউল হবে, প্লানিং হবে অন্যান্য কাস্টিংগুলো ঠিক হবে, অডিশন হবে, অনেক লম্বা সময় ধরে মিটিং চলবে সেদিন। সেই মিটিং এর প্রিপারেশন চলছে টানা। টানা হোটেলে। আমার তাই হয়, এতবার কলকাতা এসেও আমি কোনদিন কখনই আমার খুব পছন্দের জায়গা টাটা বিরলা প্লানেটোরিয়াম যেতে পারিনি। ভিক্টোরিয়া দেখিনি, নন্দন দেখিনি, কিছু দেখিনি। ৯ তারিখের অনেক ব্যস্ততা, তার ফাঁকে ডু অর ডাই এর রিসার্চে ফাইল চেক করা।

৯ তারিখটা পার হোক, তারপর লিখবো ঢাকা অ্যাটাকের হিট ফ্লপ নিয়ে। ঢাকা অ্যাটাকের সফলতা, এটার আয়, এটার ব্যয়-অপব্যয়, এটার অসচ্ছতা, এটার প্রাপ্তি, প্রাপ্তির ঔচিত্যবোধ, প্রাপ্তির বাস্তবতা। সবকিছু লিখব। লিখতেই হবে। যারা ঢাকা অ্যাটাককে ছোট করতে গিয়ে নিজেদের বাজারের সম্ভাবনার জায়গাটা ছোট করছেন, তরুণ প্রজন্মের শক্তিতে ছোট করছেন- তাদের জন্য খারাপ লাগে। এই শক্তি আপনারও শক্তি। সিনেমায় বাংলাদেশের বাজারের যে বিশাল সম্ভাবনা আছে, সেটাকে আমাদের ধারণ করতে হবে। লাভবান আমাদেরই হতে হবে অন্যদের নয়।

বাংলাদেশে এখন যে সিনেমা হলের কাঠামো আছে সেই কাঠামোতেই দর্শকরা একটা ছবিকে ১০ কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। শুধু অল্প কয়েকটা জায়গা ঠিক করতে হবে। দেশে যদি মাল্টিপ্লেক্স বাড়ে বাজারটা আরো বেড়ে যাবে। সেটা হলে, একবার ভাবতে পারেন কতটা কাজের ঝোঁক বেড়ে যাবে আমাদের নির্মাতাদের। আমাদের দেশে অসংখ্য মেধাবী নির্মাতা আছে তারা কীই না করতে পারে, এই বাজার এই টাকাগুলো পেলে। লিখবো তথ্য রিপোর্ট নিয়েই লিখবো।

কয়েকটা দিন একটু সময় দিন, তথ্যগুলো জোগাড় করি আর প্রজেক্ট নায়িকার কাজ একটু এগিয়ে নেই। সিনেমার কাজই তো করছি, জানি আপনারা এই দেরি করাটা মাফ করে দেবেন। একটা কথা বলে শেষ করি। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়, আর সিনেমা তার বাজারের সমান বড়। আমাদের সিনেমাটা ছোট করে দেবেন না প্লিজ, যে সিস্টেম বা যারা ছোট করছে, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। বাংলাদেশি সিনেমার দিন ফিরবেই। এই প্রজন্মের হাতেই ফিরবে।

সবাই ভাল থাকবেন। প্রার্থনা করি, দোয়া করবেন আমার জন্য, যেন আমি সুস্থ থাকতে পারি। ইদানীং শ্বাসকস্ট হয়, সুস্থ থাকাটা আমার কাছে সব কিছুর চেয়ে জরুরি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)


বিডি প্রতিদিন/৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বশেষ খবর
পর্দা উঠল আন্তর্জাতিক প্যারিস বিমান প্রদর্শনীর
পর্দা উঠল আন্তর্জাতিক প্যারিস বিমান প্রদর্শনীর

এই মাত্র | পরবাস

এনিসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
এনিসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

বিপদ-আপদে পাপ মোচন হয়
বিপদ-আপদে পাপ মোচন হয়

১৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস
ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ৬০০টি ফাঁদ জব্দ
সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ৬০০টি ফাঁদ জব্দ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অনশন
স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিচারের তরী বেয়ে নিয়ে যাব তীরে: দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান
বিচারের তরী বেয়ে নিয়ে যাব তীরে: দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ইনজেকশনের পর শিশুর মৃত্যু, পল্লী চিকিৎসককে গণধোলাই
ইনজেকশনের পর শিশুর মৃত্যু, পল্লী চিকিৎসককে গণধোলাই

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেঘনায় ধরা পড়লো সাড়ে ৩ কেজির ইলিশ
মেঘনায় ধরা পড়লো সাড়ে ৩ কেজির ইলিশ

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘ঘুরি যদি তাকাস, গুলি মাইরব’- ভারতীয় নাগরিক পুশ করার আগে বিএসএফ
‘ঘুরি যদি তাকাস, গুলি মাইরব’- ভারতীয় নাগরিক পুশ করার আগে বিএসএফ

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনির ঘনিষ্ঠ ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
খামেনির ঘনিষ্ঠ ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে পরিবহন কর্মী অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
টেকনাফে পরিবহন কর্মী অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রমজানের আগে নির্বাচনে একটা জাতীয় ঐকমত্য আছে : আমীর খসরু
রমজানের আগে নির্বাচনে একটা জাতীয় ঐকমত্য আছে : আমীর খসরু

৫০ মিনিট আগে | রাজনীতি

আনুষ্ঠানিক শপথ ছাড়া দায়িত্ব নেবেন না ইশরাক
আনুষ্ঠানিক শপথ ছাড়া দায়িত্ব নেবেন না ইশরাক

৫৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২১ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচিতে ‘তথ্য আপা’ কর্মীরা
২১ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচিতে ‘তথ্য আপা’ কর্মীরা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হজ শেষে ২৬১০৯ হাজি দেশে ফিরেছেন
হজ শেষে ২৬১০৯ হাজি দেশে ফিরেছেন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গংগাচড়া উপজেলায় সেলাই প্রশিক্ষণ শুরু
গংগাচড়া উপজেলায় সেলাই প্রশিক্ষণ শুরু

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই টাইগারদের
শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই টাইগারদের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব : আলী রীয়াজ
জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব : আলী রীয়াজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই : অর্থ উপদেষ্টা
দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই : অর্থ উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাউদকান্দিতে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
দাউদকান্দিতে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটিতে পথে থেমে গেল মধুমতি ট্রেন
ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটিতে পথে থেমে গেল মধুমতি ট্রেন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প
হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মদনে গোয়ালঘর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
মদনে গোয়ালঘর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রি পরিদর্শনে এনডিসির ১১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল
ব্রি পরিদর্শনে এনডিসির ১১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাদকবিরোধী অভিযানে ৮ জনের কারাদণ্ড
মাদকবিরোধী অভিযানে ৮ জনের কারাদণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প
জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান
ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের গভীর পাহাড়ের নিচের যে পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে শঙ্কিত ইসরায়েল
ইরানের গভীর পাহাড়ের নিচের যে পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে শঙ্কিত ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প
হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনা নাগরিকদের দ্রুত ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ
চীনা নাগরিকদের দ্রুত ইসরায়েল ছাড়ার নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না, তবে হামলার জবাব দেব: পেজেশকিয়ান
যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না, তবে হামলার জবাব দেব: পেজেশকিয়ান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সাইরেন
ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সাইরেন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ, এবার সেই হেলপার গ্রেফতার
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ, এবার সেই হেলপার গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প : ম্যাক্রোঁ
ইরান ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প : ম্যাক্রোঁ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধের আইনে উদ্বেগ জাতিসংঘের
দল নিষিদ্ধের আইনে উদ্বেগ জাতিসংঘের

প্রথম পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে বারানোভস্কা
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে বারানোভস্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান জনগণ চায় না
নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান জনগণ চায় না

নগর জীবন

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা