ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য মহোদয়, উপ উপাচার্য সহ সকল প্রশাসনিক কর্তাবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা এবং সমুন্নত রাখা রাষ্ট্রের স্বার্থে আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব বোধ থেকে লিখতে বাধ্য হলাম। কোথায় যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অবস্থান।
গত ৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্তন গুণি, সফল ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় উপাচার্য গণের অন্যতম প্রয়াত অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী সাহেবের ২৩ তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় তার বন্ধু পর্যায়ের শিক্ষকদের আলোচনা শুনছিলাম। আলোচনার শেষ দিকে দুজন বহিরাগত জনাব ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীকে বিশেষ করে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ডীন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ কে বিতর্কিত করার জন্য ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করে। সেই দুজন অনেক শিক্ষক ও ছাত্রের সামনে জেরার মুখে স্বীকার করে যে, বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক তাদের পাঠিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডির সামনেও তারা একই কথা বলে। পরবর্তীতে জামাল উদ্দীনের কর্মকাণ্ড সেটাকে সমর্থনও করে।
এই সভাতে উপস্থিত বক্তাগণ যেমন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামসহ তার সহকর্মী বিদগ্ধজন ৬৯ এর গণআন্দোলন, ৭১ অসহযোগ আন্দোলনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা, কর্মজীবনে নিষ্ঠা, সততা, কর্তব্য পরায়ণতা, ১৫ আগস্ট ৭৫ এরপর তার সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং সিন্ডিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭৫ এর পর সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য শোক প্রস্তাব গ্রহণ সহ তাকে নিয়ে গর্বিত হবার মত অনেক কিছু তুলে ধরেন।
যখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখই কতিপয় নোংরা শিক্ষক নির্দিষ্ট কোন শিক্ষককে বিতর্কিত করার নোংরা প্রয়াস চালায়। এর মধ্যে গুটি কয়েক তথাকথিত গুণিজন শিক্ষকও আছেন বলে শুনেছি।
আমি মনেকরি বর্তমান প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যগণের তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষা ও সমুন্নত করা। ধন্যবাদ।
লেখক: সভাপতি, স্বাচিপ
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন