আমরা কোরবানির গরুর চামড়া কোন মাদ্রাসায় দেবো, সেটা আব্বা আগে থেকেই ঠিক করে রাখেন। ঈদের দিন আমাদের গরু কোরবানির পরই অন্য একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার কিছু অল্প বয়সী ছাত্র আসলো চামড়ার জন্য।
ছাত্র: ভাইজান, এই গরুর চামড়া কি আমাদের মাদ্রাসায় দেবেন?
আমি: চামড়া পাশের এক মাদ্রাসায় দেওয়ার কথা ঠিক হয়ে আছে। আমার উত্তর শুনেই ছেলেগুলোর মুখ মলিন হয়ে গেল।
ছাত্র: আপনি কি সেই হুজুরকে একটু বলবেন, যেন চামড়ার একটা অংশ যেন আমাদের দেয়।
আমি: চামড়ার দাম তো শুনলাম কম। এর থেকে তোমাদের কি দেবে? এই গরুর চামড়ার দাম কত হতে পারে?
ছাত্র: ২৫০ টাকা।
আমিঃ ২৫০ টাকা থেকে কি দিতে বলবো?
ছাত্র: আগে যখন চামড়ার দাম ভালো ছিল, তখন অল্প চামড়া পেলেও হতো। এখন দাম নাই। তাই আমরা চেষ্টা করি যাতে কিছু বেশি চামড়া সংগ্রহ করা যায়। আগে চামড়ার জন্য আমরা দূরে যেতাম না, এখন যাই। চামড়ার টাকা পেলে আমাদের পাক সাক একটু ভালো হয়। কয়দিন ভালো খেতে পারি।
ওদের কি বলা উচিত, আমার জানা ছিল না। আমাদের দেশের এতিমখানা/লিল্লাহ বোর্ডিংগুলো চলে মানুষের দান সহায়তায়।
চামড়ার দাম নিয়ে যারা অন্তরালে খেলা করছেন, এতিমদের কথা চিন্তা করে হলেও কি এসব বাদ দেওয়া যায় না? এতিম ছেলেগুলো একটু পেট ভরে খেতে চায়। তাদের কথা একটু ভাবুন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখকঃ উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা