৩ এপ্রিল, ২০২০ ১০:২৬

ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিপদ বাড়াবেন না

রাশেক রহমান

ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিপদ বাড়াবেন না

রাশেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস। আমরা বাঙালি, আমরা কোমল হৃদয়ের অধিকারী, আমরা দান-খয়রাত করতে চাই, আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে চাই। এর সবই ঠিক আছে, কিন্তু ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বা সাহায্য করতে গিয়ে সোশ্যাল ডিসটেন্স-এর যে ব্যাপারটা সেটা যেমন প্রতিপালন করা হচ্ছে না এবং এতে করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে- যেহেতু এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। সে জায়গায় আপনার ত্রাণ বা আপনি যা দান করতে চান সেটা মেট্রোপলিটন এলাকা হলে আপনার এলাকার মেয়র বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের হাতে সোপর্দ করুন। 

দরকার হলে আপনি সে মুহূর্তের ছবি তুলুন বা ভিডিও করুন, রেকর্ড রাখুন যে আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। কিন্তু দয়া করে নিজে বিতরণ করতে যাবেন না, বিতরণটা উনাদেরকে করতে দিন। আর আপনি যদি মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে থাকেন সেক্ষেত্রে ওই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আপনার ত্রাণ বা সাহায্য সোপর্দ করুন। এক্ষেত্রেও আপনি ছবি তুলে রাখুন বা ভিডিও করুন, রেকর্ড রাখুন যে আপনি তার কাছে ত্রাণ সামগ্রী বা সাহায্য সোপর্দ করছেন।

কিন্তু আপনি নিজে বিতরণ করতে যাবেন না, কারণ এক মুহূর্তে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে বিতরণের সক্ষমতা আপনার নেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে বিতরণ করার মতো পর্যাপ্ত সক্ষম কর্মীবাহিনী আপনার নেই। সরকারের জনপ্রতিনিধি আছে, সরকারি কর্মকর্তা আছে, পুলিশ আছে, আনসার আছে, সেনাবাহিনী আছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, ডাক্তার আছে, স্বাস্থ্যসেবী আছে এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মী বাহিনী আছে। 

তাই আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, আপনারা ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিপদ বাড়াবেন না। আপনাদের সাহায্যের প্রয়োজন আছে, আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। আপনাদের বিশাল হৃদয়- একে আমরা অভিবাদন জানাই, ধন্যবাদ জানাই, স্যালুট করি। 

কিন্তু আসুন মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণের কাজটা বা সাহায্য করার কাজটা একটু সুশৃংখলভাবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা করি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর