শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৫৭, মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২২ আপডেট:

বিএনপি আমলের ১০০ দিনের ‘আমলনামা’ নিয়ে জয়ের পোস্ট

Not defined
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি আমলের ১০০ দিনের ‘আমলনামা’ নিয়ে জয়ের পোস্ট

বিএনপি আমলের ১০০ দিনের ‘আমলনামা’ নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:

কেমন ছিল বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ১০০ দিন
এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি? 
-----
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০০১-২০০৬ সাল বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে চিহ্নিত হয়ে থাকবে সবসময়। একটি দেশকে ক্ষমতাসীন দল চাইলে কতটা নারকীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তার নিদর্শন বিএনপি-জামায়াতের এই শাসনামল। সেসময়কার পরিণত মানসিকতার মানুষ যারা বেঁচে আছেন, সেই শাসনামলের কথা মনে পড়লে আজও তারা শিউরে ওঠেন। ধীরে-সুস্থে নয়, ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পিশাচদের জান্তব উল্লাস। বিএনপি-জামায়াতকে যারা ভোট দেবে না, তাদের পরিণতি কত কঠিন হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল মাসখানেক আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ এবং সংখ্যালঘু নিধনযজ্ঞ শুরু হয় নির্বাচনের আগে থেকেই। নির্বাচনের দিন দুপুরের পরপরই দেশের ওপর যেন নরক ভেঙে পড়ে। শুরু হয় চারদিকে খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ ভয়াবহ সহিংসতা। দেশের মানুষ ৭১ ও ৭৫-এর পর এমন চরম আতঙ্কজনক পরিস্থিতি চাক্ষুস করেনি। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দেয় ১০০ দিনেই দেশকে সুপথে পরিচালিত করবে বলে। কিন্তু সবই ছিল বাগাড়ম্বর।

একটু পেছন ফিরে দেখা যাক, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেই প্রতিশ্রুত ১০০ দিনে কী করেছিল। তৎকালীন প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোতে শুধুমাত্র প্রকাশিত সংবাদের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই তরুণ প্রজন্মকে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। যারা সেসময়টা প্রত্যক্ষ করার মতো পরিণত ছিলেন না কিংবা অনেকের তখনও জন্ম হয়নি।

ক্ষমতায় এসেই বিএনপি-জামায়াত সরকার ১০০ দিনের একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। গালভরা কথা মনে হলেও দেশবাসী উপায় না দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল, এই বুঝি খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু নিপীড়নসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু না, কিছুই ঘটেনি; জনতাকে দেওয়া সেই ১০০ দিনের প্রতিশ্রুতির বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, রাজনীতি, প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রেই সরকারের চরম ব্যর্থতা মানুষকে আশাহত করেছে। দেশ নিয়ে উচ্চাশা করতেন যারা, সেই বুদ্ধিজীবীদের মুখে কুলুপ ঠুসে দেওয়া হলো। কেউ প্রতিবাদ করলে তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছিল কালো তালিকায়।
দেশের খনিজ সম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার একটা কমিটমেন্ট দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহণ করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। পরবর্তীতে তার প্রমাণ মেলে। কীভাবে রাষ্ট্রায়ত্ব গ্যাসক্ষেত্র বিদেশিদের হাতে তুলে দিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। জ্বলে-পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় রাষ্ট্রের অমূল্য খনিজ গ্যাস। ক্ষতিপূরণ যেন দিতে না হয়, সেজন্য বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং আমলাদেরকে দেওয়া হয়েছিল বিপুল অঙ্কের উপটৌকন, দেশে-বিদেশে নানা সুবিধা, গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি। এসব যদিও ১০০ দিনের পরের ঘটনা, তবুও এসব বলার উদ্দেশ্য হলো, সেই সরকার কাদের সহায়তায় ক্ষমতা বসেছিল, তার ধারণা দেওয়ার জন্য।
গদিতে বসার পর থেকে বিএনপি-জামায়াত যেভাবে দেশ শাসন করেছিল, মাস পার না হতেই সর্বক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছিল বেশ কিছু প্রশ্ন: পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন এমন আনাড়ি হাতে কীভাবে সরকার পরিচালনা করছে? তারা কি আদৌ রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনায় সক্ষম? মাত্র ১০০ দিনেই কি দলটি রাষ্ট্রের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে? এসব প্রশ্ন ছিল খোদ বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের মুখেও। জোটের শুভাকাঙ্ক্ষীরা পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা এবং পত্রিকার কলামে বুদ্ধিজীবীদের হতাশাভরা বক্তব্য ছিল এমনই- রাষ্ট্রের কোনো কিছুই ঠিকঠাক চলছে না, সবকিছুই স্থবির। প্রথমদিন থেকে সর্বক্ষেত্রে তারা ব্লান্ডার (ঘাপলা) করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মানবাধিকার পরিস্থিতিতে চরম বিপর্যয় ঘটেছে... ইত্যাদি।
এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক সিনিয়র নেতাও সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এখানে একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনা উল্লেখ করা যায়। সংবাদ পাঠক সংসদ নামক একটি অনেক পুরনো সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত জোট সরকারের নেতৃবৃন্দ দেশজুড়ে মানুষের মাঝের হতাশা এবং সরকারের ব্যর্থতার কথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। না হয়ে উপায় ছিল না। কারণ, সংবাদ পাঠক সংসদ কর্তৃপক্ষ বিগত ১০০ দিনে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনাগুলোর বিস্তারিত তথ্য, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ জনসম্মুখে তুলে ধরেছিলেন।
সেসময় বিএনপি নেতা ও তৎকালীন পরিবেশ মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ নিজের আক্ষেপ তুলে ধরে বলেছেন, '... আমরা এখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। জনগণ ইতোমধ্যে হতাশ ও দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কারণ আমাদের অনেক নেতা-কর্মী সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে। কিন্তু তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না বা তাদের শাস্তি হচ্ছে না। জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর আমীর (রাজাকার) এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, জোট সরকারকে দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দিতে হবে। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আগেই এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কারণ, জনগণ কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা দলকে ক্ষমতাসীন করার জন্য ভোট দেয়নি। জনগণ শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র চায়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারছে না। সন্ত্রাস বন্ধ করার পরিবর্তে আরও বেড়েছে। কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। জনগণ আর বেশিদিন সময় দেবে না। জনগণ বিএনপির প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি চায় না, তারা কাজ চায়। ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার বলেছেন, জোট সরকারের উপর থেকে জনগণের আস্থা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জোট সরকারের সাফল্যের সম্ভাবনা তেমন দেখা যাচ্ছে না।
এসব বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, তৎকালীন সময়ে নারকীয় ঘটনা দেশকে এতটাই বিপর্যস্ত করে তুলেছিল যে, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরা সেসব ঘটনা স্বীকার না করে পারেননি। বাধ্য হয়েছিলেন জনগণের সামনে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিতে।
সেদিন সংবাদ পাঠক সংসদ কর্তৃক একটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকারের ১০০ দিনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিহতের সংখ্যা ছিল ১২০০-এর বেশি। ধর্ষণের ঘটনা গড়ে প্রতিদিন ৪টি, খুনের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ৬ জন।
সেই ১০০ দিনে ঘটে যাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া যেতে পারে।
থানার ওসি নিজের প্রাণ বাঁচাতে জিডি করেছেন:
সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা কুখ্যাত হয়ে গিয়েছিল পকিস্থানপন্থী ফকা চৌধুরীর পরিবারের কারণে। তার রাজাকার পুত্ররা রাউজানকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলে। দিনে-দুপুরেও সেখানে রাস্তা দিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী হাঁটতে পারত না ভয়ে, এই বুঝি প্রাণ যায়! রাউজান পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মীসভায় বিএনপি নেতা সাবেক এমপি রাজাকার গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী (গিকা চৌধুরী) দম্ভের সাথে জানান, রাউজান থানার ভূতপূর্ব ওসি আবুল হোসেনকে হত্যার জন্যে তার মাত্র ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল।
বর্তমান ওসিকেও হত্যার হুমকি দিয়ে গিকা চৌধুরী বলেন, তাকে হত্যার জন্য হয়তো কিছু বেশি খরচ হতে পারে। অবস্থা দেখে নিজের জীবন রক্ষার্থে সেই ওসি থানায় জিডি করেন। যেখানে পুলিশের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই, সেখানে সাধারণ মানুষ আর কতটুকু আশা করতে পারে! এমনই ছিল সেসময়কার পরিস্থিতি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কপালে লাগলো কালিমা : ফুটবলের পটল তুলেছেন পটল:
এমনিতে সাফ গেমস-এর বাইরে বাংলাদেশের ফুটবলের নাম শোনা যায় না। তবুও ফিফার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে একটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অন্তত আছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসরে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে সেই সুবাদে। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই বড় রকমের একটি অঘটন ঘটান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল। কোনো রকম পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা ছাড়াই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বা বাফুফের পুরনো কমিটি ভেঙে দেয়ায় বাংলাদেশকে চরম খেসারত দিতে হয়। ফিফার সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বাংলাদেশকে। শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে, আগের সরকারের সময়ে নীতিমালা এবং সকল প্রক্রিয়া অনুসরণে গঠিত কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। নিজেদের লোকজনকে সেখানে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে। ফিফার আইন অমান্য করার কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ফুটবলের আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বাংলাদেশের এই বিতাড়িত হওয়াটা জাতি হিসেবে যে কতটা গ্লানি ও লজ্জার, তা ক্রীড়ামন্ত্রী আন্দাজও করতে পারেননি। ক্ষমতায় বসেই তার প্রথম লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ আমলের সকল কর্মকর্তাকে বিতাড়িত করা। দেশের ফুটবলের দখল নেওয়া আর ধান্দা-ফিকিরের রাস্তা সুগম করা। ফিফার সদস্য হিসেবে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বয়ে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বাংলাদেশের নামটা অন্তত উচ্চারিত হতো। সেই নিষেধাজ্ঞার ফলে সব কিছু শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের নাম। নেমে গেল বাংলাদেশের পতাকা। গণমাধ্যমের চাপে মন্ত্রী পটল অনেক অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন সমালোচনার মুখে। কিন্তু দেশবাসীর কথা ছিল একটাই- বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের পতাকা যিনি উড্ডীন রাখতে পারেননি, তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে পারে না।
এ বিষয়ে প্রবীণ সাংবাদিক আতাউস সামাদ সেসময় লিখেছিলেন, নির্বাচিত জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন কমিটি বাতিল করার দায়ে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা থেকে বহিষ্কার করছে ফিফা। ফলে সার্ক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হলো না বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের দোষে। সরকার কোনো কারণই দেখাতে পারলো না এ রকম গাফিলতির। ঘটনাটায় হতাশ হলেন ফুটবল খেলোয়াড়রা, আজ লজ্জা পেল দেশবাসী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এখন এ কথা বলতে পারেন যে, তার সরকার যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ ও মর্যাদা এনে দিয়েছে, সেখানে খালেদার সরকার আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে চরম অপমান।
হাওয়া ভবন নামে মাফিয়া সাম্রাজ্যের তেলেসমাতি শুরু প্রথম দিন থেকেই:
আজ এত বছর পরেও হাওয়া ভবনের সেই লুটপাটের ভার বহন করছে বাংলাদেশ। রাস্তার পাশে একটা পান দোকান দিতে হলেও হাওয়া ভবনের নামে চাঁদা দিতে হতো সেসময়। দেশের মানুষের যে কোনো ব্যবসা, দেশে আসা বিনিয়োগ, বাস-অটোরিক্সা নামানো, কলকারখানা স্থাপন, চাকরি-পদোন্নতি-বদলি থেকে শুরু করে হেন কোনো বিষয় ছিল না, যা সরাসরি হাওয়া ভবনের সাথে সম্পৃক্তদের মধ্যস্থতা ছাড়া হতো। মন্ত্রী-এমপিদের ওপরেও ধার্য করা ছিল চাঁদার নির্দিষ্ট হার। লুটপাটকৃত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করে গড়ে তোলা হয়েছে বিপুল মাফিয়া সাম্রাজ্য।
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ ও আত্মীয়করণের এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। খালেদা জিয়া ছিলেন নামে মাত্র প্রধানমন্ত্রী, নেপথ্যে থেকে দেশ চালাতেন 'ক্রাউন প্রিন্স' তারেক রহমান। মন্ত্রী-এমপি না হয়েও তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা। দ্বিতীয় পুত্র আরাফাতও দখল করলেন ক্রিকেট বোর্ড। প্রধানমন্ত্রীর বড় বোন 'চকলেট আপা' মন্ত্রিসভার সদস্য। ভাই সাঈদ সাঈদ এস্কান্দারও এমপি হলেন, তার দাপটে কাঁপত বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন খাত। সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি টাকার সুদও মওকুফ করে নিয়েছিলেন এস্কান্দার। খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিন এমপি পদে পরাজিত হলেও জায়গা হয় হাওয়া ভবনে। তদবিরের একটা টেবিল ছিল তারও দখলে। খালেদা জিয়ার আত্মীয়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লুটপাটে শামিল ছিলেন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পুত্র মাহী বি. চৌধুরীর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাকে এবং অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পুত্রকেও এমপি বানিয়ে আনা হয়। 'আমরা আর মামুরা'- এই নীতি নিয়ে ক্ষমতায় আরোহণের প্রথম দিন থেকেই চলতে শুরু করে হাওয়া ভবন সাম্রাজ্য আর লুটপাটতন্ত্রের মাফয়া রাজ। তারেক রহমান পরিচালিত হাওয়া ভবনের মাফিয়া সাম্রাজ্যের যাবতীয় কর্মকাণ্ড ছিল ওপেন সিক্রেট। তাদের সাহস এতটাই বেড়েছিল যে, তারা নিশ্চিত ছিল, কেউ তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবে না। বিরোধীদল এসব নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরবর্তীতে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিল। গ্রেনেড ছুড়ে তাদের স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালায় এই মাফিয়া সর্দাররা।
প্রথম আলো পত্রিকায় হাওয়া ভবন নিয়ে ১৭ই জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, হওয়া ভবন শুরু থেকে আজ অবধি বহুল আলোচিত। বনানীর সড়ক ১৩/ডি, বাড়ি-৫৩, ঠিকানায় হাওয়া ভবন বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় হিসেবে চালুর গোড়াতেই দলের এক অংশ একে 'কাশিমবাজার কুঠি' বলে অভিহিত করেন। এই কার্যালয় সম্পর্কে তারা সন্দিহান ছিলেন। ... সরকার গঠনের পর হাওয়া ভবন আবারও আলোচনায় আসে। অনেকেই বলেন- প্রশাসন মূলত হাওয়া ভবন থেকে পাওয়া নির্দেশেই চলছে। মন্ত্রী, সচিব ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রকাশ্যে আলোচনা করেন, ওই বাড়ি দ্বিতীয় ক্ষমতাকেন্দ্র বা সরকারের ভেতরে সরকার হয়ে উঠছে। ... বিএনপি সরকার গঠনের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে হাওয়া ভবনের কথাই শেষ কথা। সরকারি খাত থেকে বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের জন্য এখানে তদবির চলে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এক আত্মীয়, যিনি গত সংসদ নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের একটি আসনে পরাজিত প্রার্থী, তিনিই অগ্রগামী রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের লোকেরাও হাওয়া ভবনের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করেন। হওয়া ভবন ও তারেক রহমানকে নিয়ে যা কিছু ঘটছে, কিছুরই রাখঢাক নেই, সবই উন্মুক্ত অবস্থায় চলছে।
দেশ কে চালাচ্ছে - মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন জেগে ওঠা কি স্বাভাবিক নয়? খালেদা জিয়ার ডাক নাম ছিল পুতুল। আক্ষরিক অর্থেই তাকে 'পুতুল' বানিয়ে রেখেছিল তারেক এবং তার গ্যাং। তবে খালেদা জিয়া 'পুতুল' অবস্থাতে থাকলেও তার সায় ছিল পুত্রের যাবতীয় অপকর্মে। বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত খালেদা জিয়া পুত্রদের সকল অপকর্মের অন্যতম দোসর। শুধু সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি গদিতে বসতেন, সই করার এখতিয়ারটুকু ছিল তার। বাদ বাকি ক্ষমতা ছিল মাফিয়া সর্দার তারেক রহমানের হাতে।
প্রশাসন নাকি প্রহসন:
ক্ষমতায় বসেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নেয়ার নামে যে হারে রদবদল ও চাকুরিচ্যুত করতে শুরু করে, দ্রুতই তার সমাপ্তি ঘটবে বলে মানুষ আশা করেছিল। জোট সরকারের প্রথম ১০০ দিনেই মানুষের এই ধারণা ভেঙে গেছে। সেই সময়টা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দুঃস্বপ্নের কাল বলে বিবেচিত হয় আজও। আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের গণবদলি, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, পদোন্নতি স্থগিত, চাকুরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন কারণে প্রশাসনে নেমে এসেছিল অস্থিরতা। কখন কোন অছিলায় কার চাকরি যাবে, কাকে কোথায় বদলি করা হবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না চাকরিজীবীদের মধ্যে।
সরকারি অফিসগুলোতে কি কাজের পরিবেশ আছে? সরকারি কর্মচারীরা কি তাদের দায়িত্ব পালন যথাযথভাবে করতে পেরেছেন জোট সরকারের প্রথম ১০০ দিনে? এ সম্পর্কে ২০০২-এর ২২ই জানুয়ারিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত আস্থাভাজন ও তার ভাষণ লেখক, সাংবাদিক শফিক রেহমান সম্পাদিত পত্রিকা যায়যায়দিন লিখেছিল:
বর্তমান সরকারে শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এখন বলছেন, অনেক হয়েছে, সরকারের উচিত খুব শিগগিরই ব্যুরোক্রেসিকে স্থির করা। আমলাতন্ত্রের মধ্যে অতীতে আর কোনো সিভিল গভর্নমেন্টের আমলে এখনকার মতো এত বেশি অস্থিরতা দেখা যায়নি। ... বর্তমান সরকারের আমলে প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র সম্পর্কে সু কিংবা কু কোনোরকম নীতি আছে বলে মনে হয় না। এখন পর্যন্ত ব্যুরোক্রেসি নিয়ে যা করা হয়েছে তাকে নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা বলাই ভালো। ... পুরস্কার ও তিরস্কারের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি না থাকায় ক্ষমতাধর সুবিধাবাদী লোকেরা ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীস্বার্থে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ডিকটেট করছে। উড়ো চিঠি, ফোন এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে চাকরি যাচ্ছে, শোকজ নোটিশ দেয়া হচ্ছে, সাসপেন্ড করা হচ্ছে সরকারি অফিসারদের। এর মধ্যে দক্ষ, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তারাও পড়ে যাচ্ছেন অনেক সময়। কে কোনদিক থেকে কী করছেন কেউ ঠাহর করতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের নামে, হাওয়া ভবনের নামে, বিএনপির পাওয়ারফুল নেতাদের নামে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনের নাম করে ঘটানো হচ্ছে এ ধরনের অপকর্ম।
খালেদা জিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট শফিক রেহমান-এর পত্রিকায় পর্যন্ত জনঅসন্তোষের মুখে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে প্রকৃত পরিস্থিতি যে কতটা দুর্বিষহ ছিল, তা সহজেই অনুমেয়।
দখলদারিত্বের সর্বকালের রেকর্ড ভাঙলো বিএনপি-জামায়াত জোট:
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবকিছু দখলে নেওয়ার জন্য বেপরোয়া আচরণ করতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত সরকার ও তার সমর্থকরা। কী ছিল না তাদের দখলের তালিকায়? ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো, বাস টার্মিনাল, গণশৌচাগার, ভিসির অফিস, বাড়ি, জমি, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, ঠিকাদার অফিস, কবরস্থান, আড়ত, দোকান, প্রেসক্লাব, কলেজ, এমপি হোস্টেলের স্যুট ও কক্ষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কারপার্কিং-এর স্থান...। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও পর্যন্ত ছিল তাদের দখলের এই তালিকায়।
এই দখলদারিত্বের বিষয়ে সাপ্তাহিক ২০০০-পত্রিকায় ২০০২ সালের ১৮ই জানুয়ারি সংখ্যায় 'দখলের নতুন অধ্যায়' শিরোনামে ৯ পৃষ্ঠার একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যা দেখে চমকে ওঠে দেশের মানুষ। কীভাবে সরকার ও প্রশাসনের ভেতরে বিস্তার করা হচ্ছে এক কালো থাবা, কীভাবে মাফিয়াদের কালো ছায়া গ্রাস করছিল পুরো দেশটাকে, কীভাবে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একে একে কুক্ষিগত হচ্ছিল মাফিয়াদের আস্তিনের তলে, তার এক নিদর্শন ছিল সেই প্রতিবেদন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বদলে দিয়ে রাতারাতি মিথ্যাচার প্রতিষ্ঠা করা হয় পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে:
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দখল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দখলদারিত্বের তালিকায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে মিথ্যা ইতিহাস গেলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ৮ম শ্রেণির 'বাংলা সাহিত্য কণিকা'য়, স্বাধীনতার পথে স্মরণীয় যারা শীর্ষক রচনায় ঢোকানো হয়েছিল এক নির্লজ্জ মিথ্যাচার। লেখা হয়েছিল: "প্রভিশনাল বাংলাদেশ সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।"
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যেখানে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষিত সরকারের একজন বেতনভুক সেনা কর্মকর্তা ছিলেন জিয়া। ২৫ মার্চ রাতে (ক্যালেন্ডারের ২৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর সেই ঘোষণাপত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে পুনঃপঠিত হয়েছিল। চট্টগ্রামের মাত্র ১০ কিলোওয়াট রেঞ্জের বেতারকেন্দ্র থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অন্তত ৮ জন সেই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। কাছাকাছি থাকা মেজর রফিকুল ইসলামকে অনুরোধ করা হলে তিনি প্রতিরক্ষা ব্যূহ ত্যাগ করে ঘোষণাপত্র পাঠ করতে বিনীতভাবে অপারগতা জানানোর পর অপর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান সেই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুরোধ পেয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর নাম উল্লেখ ছাড়া এবং দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের চাপে 'বঙ্গবন্ধুর পক্ষে' শব্দবন্ধ যুক্ত করে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। যার ধারণকৃত অডিও এখনো সংরক্ষিত রয়েছে রেকর্ড হিসেবে। জীবিতাবস্থায় জিয়া নিজেকে কখনো স্বাধীনতার 'ঘোষক' বলে দাবিও করেননি। এমনকি বিচিত্রায় প্রকাশিত তার একটি প্রবন্ধে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল সামরিক বাহিনীর সবার কাছেই স্বাধীনতার ঘোষণা।
স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার নির্দেশে যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে এবং মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন জেনারেল ওসমানী। তাদেরকে ডিঙিয়ে সেই জিয়াকে বিএনপি সরকার 'সুপ্রিম কমান্ডার' এবং 'রাষ্ট্রপ্রধান' আখ্যা দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়ে দিল! কতটা কদর্য তাদের চিন্তাভাবনা, এটা সহজেই অনুমেয়।
বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানও ইতিহাস দখলের এই অপচেষ্টা মেনে নিতে পারেননি। তিনি তার কলামে লিখেছেন- 'প্রকৃত ইতিহাস তা নয়। ঘোষণাটি জিয়াউর রহমান পাঠ করেন ২৭শে মার্চ, ১৯৭১-এ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই তিনি সেই ঐতিহাসিক ঘোষণাটি পাঠ করেন। এই তথ্য বিকৃতির ফলে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকখানি কমে গেছে (যায়যায়দিন, ২২শে জানুয়ারি, ২০০২)।
অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ তার একটি কবিতায় লিখেছিলেন, 'একদিন সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।' বিএনপি-জামায়াত সরকারের ১০০ দিনে সবকিছু কি নষ্টদের দখলে চলে যাওয়ার দৃশ্যই দেখেছে জাতি।
ঘর থেকে বেরোলে কি প্রাণ নিয়ে ঘরে ফেরা যাবে:
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থতির এতটাই অবনতি হয়েছিল যে, দেশের প্রতিটি মানুষ এক ভয়ঙ্কর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই সংঘটিত হচ্ছিল মারাত্মক অপরাধসমূহ।
এ প্রসঙ্গে ২০০১ সালের ১০ই অক্টোবরের ডেইলি স্টার পত্রিকায় লেখা হয়েছে: 'সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭), ভিপি জয়নাল (ফেনী-২), ইলিয়াস আলী (সিলেট-২) এবং হাফিজ ইব্রাহিম (ভোলা-২) এইসব বিএনপি নেতাদের অপরাধ জগতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, বেআইনি জমি দখল, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বদান এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের (ঢাকা-৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বাস টার্মিনাল দখলের। সন্ত্রাসের অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার বিরুদ্ধে জন-নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে এবং চার্জশিটের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে।
নামগুলো দেখুন। রাজাকার সাকাচৌ, রাউজানের আরেক কুখ্যাত খুনি এবং সন্ত্রাসের গডফাদার, যার দাপটে রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ছিল ঘরবাড়িছাড়া। দখল এবং হত্যাযজ্ঞ ছিল নিয়মিত ঘটনা। ফেনী অঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা সেই ভিপি জয়নাল, যার হাতে অগুণিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী খুন হয়েছে। ইলিয়াস আলী তো ছাত্রাবস্থা থেকেই ছিলেন খুনি। এরশাদের নতুন বাংলা ছাত্রসমাজের সশস্ত্র ক্যাডার ইলিয়াসের খুন খারাবির হাত দেখে ছাত্রদলে তাকে টেনে এনে পদ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার নির্দেশে ৯০-তে ছাত্রলীগ নেতা চুন্নু ও ৯১-তে ছাত্রলীগ নেতা লিটনকে হত্যা করেন ইলিয়াস। সর্বমোট ১৮টি হত্যা মামলা ছিল তার নামে। ছাত্রদলের নেতৃত্বে উঠে আসেন তিনি; রুহুল কবির রিজভী হন সভাপতি, ইলিয়াস হন সাধারণ সম্পাদক। এরপর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ছাত্রদল ও বিএনপির বহু নেতাকেও হত্যা করেন তিনি। খালেদা জিয়া একে একে সব কিছু থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে এমপি বানান।
এলাকায় সাইফুর রহমান গ্রুপের সাথেও ইলিয়াসের দ্বন্দ্ব ছিল। তার গুম হওয়ার পেছনে দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেন মির্জা আব্বাস। তবে এসব তো বেশিদিন আগের ঘটনা নয়। ২০০১-২০০৬ আমলে এমপি হয়েই প্রথম দিন থেকে বিরোধীদলকে দমনে রীতিমত রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। হাফিজ ইব্রাহিম আবির্ভূত হন মূর্তিমান ত্রাস হিসেবে। ভোলা অঞ্চলের সংখ্যালঘুরা আজও তার নাম শুনলে কেঁপে ওঠেন। নির্বাচনে জয়লাভের পরই প্রথম দিন থেকে ভোলা এলাকায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগ, নারী-শিশু ধর্ষণ ও গণধর্ষণ, খুন, অঙ্গহানি, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ, দেশত্যাগে বাধ্য করা, জমি দখলসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা ঘটায়নি।
দেশের মানুষ রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েছিলেন বিএনপি-জামায়াতের এই তাণ্ডবের কারণে। জনগণ ধরেই নিয়েছিলেন আত্মমর্যাদা নিয়ে নিজের মতো করে কাউকে হয়ত বাঁচতে দেবে না সরকার। আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা অনেকের মনে থাকবে। ছাত্রদল-যুবদলের ক্যাডার দোয়েল, খলিল, মোফাজ্জল ও রিপন এবং পুলিশের এসআই বাশারের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ চারুকলার ছাত্রী সিমি। এভাবে দেশজুড়ে অপরাধে আর নৃশংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষের জীবন। ছিনতাই আর চাঁদাবাজি পরিণত হয় অন্যান্য অপরাধের তুলনায় অত্যন্ত লঘু ঘটনা।
সাপ্তাহিক যায়যায়দিন-এর ২২শে জানুয়ারি ২০০২ সংখ্যায় সম্পাদকীয় কলামে লেখা হয়েছিল: ছোট ছোট অপরাধের ঘটনা ব্যাপকভাবে ঘটে চলেছে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি। প্রতিদিন এই সবের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। পথে হাঁটা, রিকশা বা বেবি ট্যাক্সিতে চলাচলকারী মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তারা সর্বস্ব হারিয়েও থানায় জিডি করে না, কারণ এতে কোন লাভ হয় না। ... এক সপ্তাহে একই ব্যক্তি একাধিকবার ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কখনো বেবি ট্যাক্সিতে উঠে, কখনো প্রকাশ্য রাস্তায় অস্ত্র বা ছোরা ঠেকিয়ে কেড়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন সেট, ঘড়ি, কখনো টাকা নেয়ার পরও ছুরিকাঘাত করছে। চলে যাওয়ার সময় চোখে-মুখে জ্বালা ধরে এমন পাউডার বা কেমিক্যাল ছিটিয়ে যাওয়ার ঘটনাও শোনা গেছে। সাথে টাকা না পেয়েও জামা-কাপড় খুলে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকা শহরের সব এলাকাতেও চলছে এ ধরণের ছিনতাই। ... একজন মানুষ সারা মাস পরিশ্রম করে মাস শেষে বেতন পায়। তার সংসারের পুরো মাসের সম্বল পকেটে পুরে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হলে তা কেড়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারী। আক্রান্তের মনের অবস্থাটা যে কী, তা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এই রকম মানসিক ও আর্থিক নির্যাতন থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের।
দেশের শীর্ষ গণামাধ্যমগুলোর প্রথম পাতায় বড় হেডিংয়ের বক্তব্য ছিল- আমরা কি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারবো?
এ কোন শান্তিময় ভবিষ্যত:
ক্ষমতায় আরোহণ করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে সুন্দর ও শান্তিময় ভবিষ্যতের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, ১০০ দিনে তা পুরোটাই ভেস্তে যায়। সরকার ক্ষমতায় বসার পরেই মানুষের দুর্ভোগ সীমানা ছাড়া হয়ে যায়। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের বেসামাল সংলাপের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, আটা, তেল, মাছ-মাংসসহ সব জিনিসেরই দাম বেড়ে যায় হু হু করে। সেই তুলনায় বাড়েনি মানুষের আয়। সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ব্যর্থ, ছিল না ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ। বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য যে পরিমাণ ইনভেস্ট (চাঁদা) করতে হয়েছে, তা উঠিয়ে নিতে হলে জিনিসপত্রের দাম না বাড়িয়ে উপায় কী- এমন প্রকাশ্য বক্তব্য ছিল ব্যবসায়ীদের। সরকারিভাবেই তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল। খেতে না পেরে, পরিবারের ভরণ-পোষণ দিতে না পেরে বহু মানুষের সপরিবারে রেলের নিচে বা নদীত ঝাঁপ, বিষ খেয়ে, গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ছিল নিত্তদিনের খবর।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এক সভায় বলেছিলেন, ১০০ দিনে জোট সরকার মূল্য বৃদ্ধি ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। সাংবাদিক আতাউস সামাদও না বলে পারেননি- দেশের লোককে সুখের মুখ দেখানোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রদান এই সেদিনের ব্যাপার হলেও দেশজুড়ে মানুষকে অসুখী করেছে বিএনপি সরকার জ্বালানি, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়ে। ভোটাররা এখন প্রকাশ্যেই প্রশ্ন করছেন, আর কী কী এবং কত ভারি সব বোঝা চাপাবে এই সরকার তাদের ওপর!
দায়িত্বশীলদের কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের কিছু নমুনা এবং অন্যান্য:
* ৬০ জনের মন্ত্রীসভা এমন কিছু বেশি নয়। এতে তেমন খরচ বাড়বে না : খালেদা জিয়া [প্রথম আলো, ৩রা ডিসেম্বর, ২০০১]
* সবুরে মেওয়া ফলে। এতো অধৈর্য হলে চলবে না : বিএনপি মহাসচিব ও মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভুঁইয়া, শরিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে [প্রথম আলো, ১৫ই জানুয়ারি, ২০০২]
* দেশ চালায় আল্লাহ, মন্ত্রীরা চালায় না : এমসিসিআই-এর সভায় অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান [ভোরের কাগজ, ২৫শে জানুয়ারি, ২০০২]
* নজর রাখবেন আমার দলের লোক খুন হয়েছে, আবার দলের লোকদের বিরুদ্ধে যেন মামলা না হয় : দলীয় কোন্দলে নিহত বিএনপি নেতা খালেদ ইমামের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বিএনপি সাংসদ মেজর মান্নান [প্রথম আলো, ২রা জানুয়ারি, ২০০২]
* দলে চোর-ডাকাত অনেকেই থাকে। তাদের সঙ্গেই আমাদের রাজনীতি করতে হয় : বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি একরামুল করিম [প্রথম আলো, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০০১]
* শালাদের চোখ তুলে ফেল : আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর হামলা চালনাকালে পুলিশের প্রতি এডিসি কোহিনুর মিয়ার নির্দেশ [ইত্তেফাক, ১০ই জানুয়ারি, ২০০১]
* বিএনপি সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পেলাম, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ : এরশাদ শিকদার, একটি হত্যা মামলায় খালাস পেয়ে [প্রথম আলো, ২৬শে অক্টোবর, ২০০১]
* পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানির কারণে বান্দরবানের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে : জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মাবুদ [প্রথম আলো, ২রা জানুয়ারি, ২০০২]
#বিএনপি #বিএনপিজামাত #BNP #BNPJamaat #Bangladesh #বাংলাদেশ #রাজনীতি #Politics #সন্ত্রাস #অগ্নিসন্ত্রাস #নির্যাতন #আওয়ামীলীগ #খালেদাজিয়া #তারেকজিয়া

এই বিভাগের আরও খবর
এনসিপিকে কেন শাপলা দেওয়া যাবে না, ব্যাখ্যা দিলেন নীলা ইসরাফিল
এনসিপিকে কেন শাপলা দেওয়া যাবে না, ব্যাখ্যা দিলেন নীলা ইসরাফিল
ইশরাকের সাথে বিয়ে কবে? ফেসবুক পোস্টে জানালেন নুসরাত নিজেই
ইশরাকের সাথে বিয়ে কবে? ফেসবুক পোস্টে জানালেন নুসরাত নিজেই
যেখানে আওয়ামী লীগ, সেখানেই মাইর : হামিম
যেখানে আওয়ামী লীগ, সেখানেই মাইর : হামিম
আখতারের ওপর হামলার ঘটনায় যা বললেন সারজিস
আখতারের ওপর হামলার ঘটনায় যা বললেন সারজিস
‘রাজনৈতিক নেতাদের অনিরাপদ রেখে সরকার প্রধানের এয়ারপোর্ট প্রস্থান লজ্জাজনক’
‘রাজনৈতিক নেতাদের অনিরাপদ রেখে সরকার প্রধানের এয়ারপোর্ট প্রস্থান লজ্জাজনক’
ডাকসু নির্বাচন গণতন্ত্র অভিমুখী বিশাল পদযাত্রা: আসিফ নজরুল
ডাকসু নির্বাচন গণতন্ত্র অভিমুখী বিশাল পদযাত্রা: আসিফ নজরুল
এক হাজার কোটি টাকার মালিক সুমন, ফেসবুকে জাওয়াদ নির্ঝর
এক হাজার কোটি টাকার মালিক সুমন, ফেসবুকে জাওয়াদ নির্ঝর
‌‘এতো আশ্চর্য আর কোনোদিন হইনি’
‌‘এতো আশ্চর্য আর কোনোদিন হইনি’
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কে মিয়ানমারে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক পোশাক কারখানা
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কে মিয়ানমারে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক পোশাক কারখানা

৪০ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করল যুবদল
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করল যুবদল

৪৬ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ক্যানসার ও আলঝেইমার গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলতে পারে এই আবিষ্কার
ক্যানসার ও আলঝেইমার গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলতে পারে এই আবিষ্কার

১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

টঙ্গী থেকে অপহৃত ইমাম পঞ্চগড়ে উদ্ধার
টঙ্গী থেকে অপহৃত ইমাম পঞ্চগড়ে উদ্ধার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমাচ্ছে ভারত
রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমাচ্ছে ভারত

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে চলছে অভিযান: দুই দিনে আটক ২২২ যানবাহন, ৯৪টি মামলা
সিলেটে চলছে অভিযান: দুই দিনে আটক ২২২ যানবাহন, ৯৪টি মামলা

১০ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নিউজিল্যান্ডে প্রবল ঝড়, ৯০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন- বাতিল শতাধিক ফ্লাইট
নিউজিল্যান্ডে প্রবল ঝড়, ৯০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন- বাতিল শতাধিক ফ্লাইট

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কম্বোডিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের ৮৬ নাগরিক গ্রেফতার
কম্বোডিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের ৮৬ নাগরিক গ্রেফতার

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৭ মার্চ
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৭ মার্চ

১৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সাইফের পর নার্ভাস নাইনটিতে ফিরলেন সৌম্য
সাইফের পর নার্ভাস নাইনটিতে ফিরলেন সৌম্য

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে: মঈন খান
সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে: মঈন খান

৩০ মিনিট আগে | রাজনীতি

আইএসইউ’র শিক্ষকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত
আইএসইউ’র শিক্ষকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

৪০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের অবরোধ

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

সৌন্দর্য বাড়াতে ১৫ বছরে ৪০০ সার্জারি
সৌন্দর্য বাড়াতে ১৫ বছরে ৪০০ সার্জারি

৫৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

দুর্দান্ত সৌম্য-সাইফ, ওপেনিং জুটিতেই দেড়শ’ পার
দুর্দান্ত সৌম্য-সাইফ, ওপেনিং জুটিতেই দেড়শ’ পার

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আশ্রিত রাজ্য’ নয় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু
যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আশ্রিত রাজ্য’ নয় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের সামনে লাল কাপড় টাঙালেন এলাকাবাসী, বেড়েছে ভোগান্তি
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের সামনে লাল কাপড় টাঙালেন এলাকাবাসী, বেড়েছে ভোগান্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাপেক সম্মেলনের আগেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া
অ্যাপেক সম্মেলনের আগেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সায়দাবাদে নির্মাণাধীন ভবন থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সায়দাবাদে নির্মাণাধীন ভবন থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘সমন্বয়ের অভাবে জলাবদ্ধতা ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে’
‘সমন্বয়ের অভাবে জলাবদ্ধতা ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন : ফখরুল
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন : ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায়পুরে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত
রায়পুরে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্টারলিংককে ঠেকাতে একীভূত হচ্ছে ইউরোপের মহাকাশ সংস্থাগুলো
স্টারলিংককে ঠেকাতে একীভূত হচ্ছে ইউরোপের মহাকাশ সংস্থাগুলো

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে চিন্তা করে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে চিন্তা করে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে আগুন, স্ত্রী-সন্তানসহ দগ্ধ ৬
বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে আগুন, স্ত্রী-সন্তানসহ দগ্ধ ৬

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপেক্ষায় ৬ হাজার ট্রাক, গাজায় ত্রাণে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ আইসিজের
অপেক্ষায় ৬ হাজার ট্রাক, গাজায় ত্রাণে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ আইসিজের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ত্বকের যত্নে কমলার খোসা
ত্বকের যত্নে কমলার খোসা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সর্বাধিক পঠিত
শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ
শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ে ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনলেন জেমস
বিয়ে ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনলেন জেমস

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতে কেন রাস্তায় নামছে না জেন জি প্রজন্ম?
ভারতে কেন রাস্তায় নামছে না জেন জি প্রজন্ম?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আচমকা শাহরুখের গালে চড়, হকচকিয়ে যান কিং খান
আচমকা শাহরুখের গালে চড়, হকচকিয়ে যান কিং খান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের বিরোধীতায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-কাতার
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের বিরোধীতায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-কাতার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার
দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদলকে জড়িয়ে এ কে আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ
যুবদলকে জড়িয়ে এ কে আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরব সাগরে ১০০ কোটি ডলারের মাদক জব্দ করল পাকিস্তান নৌবাহিনী
আরব সাগরে ১০০ কোটি ডলারের মাদক জব্দ করল পাকিস্তান নৌবাহিনী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?
দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত
রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্ষমতা থাকলে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেখান, ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
ক্ষমতা থাকলে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেখান, ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ বছর পুরনো লজ্জার সামনে লিভারপুল
৭২ বছর পুরনো লজ্জার সামনে লিভারপুল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড মৃত্যু
জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড মৃত্যু

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি
কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

করণ জোহরের জীর্ণ শরীরের রহস্য ফাঁস
করণ জোহরের জীর্ণ শরীরের রহস্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ
চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলার শঙ্কাতেই কি তুরস্কের আকাশ শক্তি বাড়ানোর তোড়জোড়?
ইসরায়েলি হামলার শঙ্কাতেই কি তুরস্কের আকাশ শক্তি বাড়ানোর তোড়জোড়?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যয় হবে ২১৬ বিলিয়ন ডলার: বিশ্বব্যাংক
সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যয় হবে ২১৬ বিলিয়ন ডলার: বিশ্বব্যাংক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ
মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জোট বাড়ছে বিএনপির
জোট বাড়ছে বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের

সম্পাদকীয়

মিঠামইনের অঘোষিত রাজা
মিঠামইনের অঘোষিত রাজা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব
প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব

মাঠে ময়দানে

ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক
ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই

নগর জীবন

আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না
ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

এই চুরি রুধিবে কে?
এই চুরি রুধিবে কে?

নগর জীবন

কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট
কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন
অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

নগর জীবন

জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার
জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার

রকমারি নগর পরিক্রমা

রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা

নগর জীবন

অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী
অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী

নগর জীবন

আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদ পড়লেন শাকিব খান
বাদ পড়লেন শাকিব খান

শোবিজ

হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী
হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ
সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ

খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

দেশগ্রাম