সোনালি আঁশ পাট। পুরো দেশজুড়ে পাটের চাষ হলেও ফরিদপুরের পাট গুণে-মানে সব সময় অনন্য। রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মাগুরা অঞ্চলে পাট চাষও হয় দেশের যেকোনো জেলার চেয়ে বেশি। একসময় দেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী পণ্য হিসেবে পাটের কদরও বেশি ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে পাল্টে গেছে সব হিসাব-নিকাশ।
বর্তমান প্রজন্মকে পাট গাছ চিনতে হয় বইয়ের পাতা থেকে। সম্প্রতি পাটচাষ প্রধান জেলা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ছোট মালিগ্রামে গিয়ে দেখা মেলে সোনালি আঁশের মেলা।
চলুন, এক ঝলক দেখে নেওয়া যাক কীভাবে আমরা পাই সোনালি আঁশ।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ছোট মালিগ্রামে পাট চাষিরা কাটার পর পানিতে ভিজিয়ে রেখেছেন পাট।
পানি থেকে পাট তুলে আনার পর তা থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত পাটচাষিরা।
আবার অনেকে পাটকাঠি থেকে ছাড়ানো আঁশ পানিতে নিয়ে পরিষ্কার করছেন।
আঁশগুলো সম্পূর্ণ আলাদা করে সারি সারি রাস্তার পাশেই বাঁশের ওপর শুকাতে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পাটকাঠিগুলোকে দাঁড় করে রাখা হয়েছে রোদে।
শুকনো পাটের অাঁশগুলো বান্ডিল আঁকারে বাঁধা হচ্ছে বাজারজাত করার জন্য। সোনালি আঁশের বান্ডিলগুলো বিক্রির জন্য একে একে তোলা হচ্ছে ট্রাকে।