২ আগস্ট, ২০২১ ১৪:০১

পাখি পালনেই সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরে আব্দুল বারেকের

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

পাখি পালনেই সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরে আব্দুল বারেকের

বিভিন্ন রং-বেরংয়ের বিদেশী পাখির খামার দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে। এতে অনেকের সংসারের স্বচ্ছলতাও ফিরেছে কিন্তু বর্তমান করোনা কালীন সময়ে তাদের আয় কমে গেছে।

এরকম একজন এই পাখি পালন করেই সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন দিনাজপুরের আব্দুল বারেক। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সুদর্শন টিয়া পাখির মত দেখতে বিদেশী এই ‘বাজারিকা’ পাখি পালন করছেন তিনি।
 
এক সময় আব্দুল বারেক কৃষি কাজ করতেন কিন্তু সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে না পারায় এই বাজারিকা বিদেশী পাখি পালন শুরু করেন। বর্তমানে ২০০ জোড়া পাখি রয়েছে তার খামারে। বাড়ির একটি ঘরেই এই খামার গড়ে তোলেন দিনাজপুর সদরের চেহেলগাজী ইউপির রানীগঞ্জ মোড় এলাকার আব্দুল বারেক। তিনি পাইকারদের কাছে এই পাখি বিক্রি করেন। একসময় এই পাখি বিক্রি করে মাসে ১৬-২০ হাজার টাকা আয় করেছেন কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই সময় বাজার পড়ে যায় এবং মাসে এখন ৭-৮হাজার টাকা আয় হয়। এমনটাই বললেন আব্দুল বারেক। 

আব্দুল বারেক জানান, এই বাজারিকা পাখির বাজার ভাল আছে। বর্তমানে পাখির খাদ্যের দাম বেড়েছে এবং করোনাকালীন বাজারজাতকরণের সমস্যায় দাম ভাল পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতাও কমে গেছে। তবে যে কেউ এটা পালন করে ১৫-১৬ হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারবেন। 

তিনি আরও জানান, গত ৭ বছর ধরে এই বাজারিকা পাখি পালন করে আসছি। আমার বাড়ির এক ঘরে এই খামার করেছি। ঘরে বিভিন্ন স্থানে মাটির কলস বসানো হয়েছে। এছাড়াও ঘরের মধ্যে পাখির বাস করার পরিবেশ করতে হয়েছে। সবসময় কিচিরমিচির শব্দে তা মেতে থাকে। মাটির কলসে তারা ডিম পাড়ে। অনেকে দেখতে আসে আবার কেউ এটি পালনে কিনতে আসে। বর্তমানে পাখির খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আবার গত বছর থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব এই পাখির কেনাবেচার বাজার নষ্ট করে দিয়েছে। আয়ও কমে গেছে। বর্তমানে খামারে ২০০ জোড়া এই পাখি আছে। মাসে ৭-৮ হাজার টাকা আয় এখন। এরপরেও আমার ৪ জনের সংসারে পূর্বের চেয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে এই পাখি। তবে এর পাশাপাশি আমি মৌ-খামারও রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর