৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৪৫

শাপলা আর পদ্ম ফুলের মায়াবী স্নিগ্ধতায় ভরা গোবরার বিল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

শাপলা আর পদ্ম ফুলের মায়াবী স্নিগ্ধতায় ভরা গোবরার বিল

গোবরার বিলের পানিতে ফুটে আছে লাল-সাদা শাপলা পদ্ম ফুল। আর সাদা বকের উড়া উড়ি। পাখিদের কলকাকলি কিংবা কোন সাদা বক, পানকৌড়ি মুক্তমনে বিলের পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত।

মুক্ত বাতাস আর বিলের একপাশে দৃষ্টিনন্দন সবুজ ঘন অরণ্য, পাখিদের কিচিরমিচির ডাকাডাকি, বিলের উপর বিচিত্র পাখির উড়াউড়ি এসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্তরে অন্যরকম শিহরণ জাগিয়ে তুলে।

লাল, সাদা শাপলা ফুল বিলের স্বপ্নীল রূপ আরো ফুটিয়ে তোলে। এছাড়াও অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত বিলের পরিবেশ। ফলে দেশের শেষ সীমানাতেও স্থানীয়সহ প্রকৃতিপ্রেমীদের আনাগোনা দেখা যায়।

বিরল বনবীটের কালিয়াগঞ্জ বাজার এলাকার সীমান্তের কাছে বিশাল এ গোবরার বিলটি। যেখানে ফুটে আছে দৃষ্টিনন্দন হাজারও পদ্ম ও শাপলা ফুল। এক মায়াবি স্নিগ্ধতা। কৈশরের দূরন্তপনা আর মায়াবি সবুজের সমারহ। আপনাকে মূহুর্তেই সতেজ করে তুলতে পারে গোবরার বিল। আর বিলটির পাশেই দৃষ্টিনন্দন ঘন অরোণ্যর ধর্মপুর শালবন যেন প্রাকৃতিক সৌন্দযের লিলাভূমি। 

অনেকে এখানের গাছের আকৃতি দেখে আশ্চর্য হবেন আবার কেউ ভয়ও পেতে পারেন। সাঁপের মত পেঁচিয়ে থাকা গিলা উদ্ভিদগুলো ছুঁয়ে দেখতে পারেন। এক অন্যরকম অনুভূতি অনুভব হবে এরকমই বললেন দেখতে আসা দিনাজপুর শহরের আসাদুজ্জামান লিটন, শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেনসহ কয়েকজন। 

গোবরার বিল থেকে স্থানীয়রা পুজার জন্য এই পদ্ম ফুল তুলে নিয়ে যায়। নিরিবিলি গাছ-গাছালীর এক মোহনীয় প্রকৃতির নয়নাভিরাম ধর্মপুর বনবিট। যা দর্শনাথী, পর্যটক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ। এই গোবরার বিল ও বনবিট হতে পারে শুধু দরকার পরিকল্পনা ও পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। 

দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ১৬ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে বিরল উপজেলার সীমান্ত ঘেষা ধর্মপুর ইউনিয়নে এ ধর্মপুর বন বিট ও গোবরার বিল। বিরল উপজেলা থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দক্ষিণে কালিয়াগঞ্জ বাজার। কালিয়াগঞ্জ বাজার থেকে আরও প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই দেশের শেষ সীমানায় এই গোবরার বিল। দিনাজপুর সদরের গৌরিপুর সুইচগেইট দিয়ে যাওয়া এই বনে। 

প্রায় ২৮শ’একর জমি নিয়ে গড়ে উঠা এ বনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালার সমারোহ। গাছের প্রাকৃতিক বৈচিত্রময় ও নিরিবিলি মনকে নাড়া দিবেই। আছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখিও। বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ পিকনিক করার জন্য বিশেষ করে শীত মৌসুমে এখানে আসে। 

গোবরার বিল ছাড়াও এই বনের ভিতরে চোখে পড়বে দামী উদ্ভিদ আগর, শাল, আকাশমনি, মিনজুরি, ইউক্লিপ্টাসসহ নানা প্রজাতির বনজ ও ঔষধী গাছের সমারোহ। এছাড়াও অজানা গাছও এখানে দেখা গেছে যা কেউ নাম বলতে পারেননি। আছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি।

দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার মো. সাদেকুর রহমান সাদেক জানান, এই বনবিটে একটা ছোট ডাক-বাংলো রয়েছে। এখানে ২৫ প্রজাতির অধিক শালবনে গাছ রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর