৬ জুন, ২০২৩ ১৬:৩৪

শহরেও তালপাখার চাহিদা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শহরেও তালপাখার চাহিদা বাড়ছে

ফাইল ছবি

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসা তালপাখাই আবার ফিরে এলো নগর জীবনে! তবে তালপাখার এই ফিরে আসার কারণটা খুব একটা সুখকর নয়। প্রখর খরতাপে লোডশেডিংয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত অনেকেরই। অনেকের আবার হাঁসফাঁস দশা। আর সেই দমবন্ধ গরম থেকে মুক্তি পেতেই আবার নগরের বাসিন্দারাও হাতে তুলে নিয়েছেন তালপাখা। সাথে হয়তো ফিরছে খানিকটা সুখস্মৃতি ও নস্টালজিয়া। অস্বস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে পেতেই কেউ হয়তো একটু আবেগী হয়ে প্রশ্ন করে বসছেন, ‘আমার দেয়া তালপাখাটা তোমার হাতে কেমন আছে?’

আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে প্রখর তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রংপুর অঞ্চলের ওপর দিয়ে। মে মাসের শেষে বৃষ্টি হয়েছিল প্রায় দুই মিলিমিটার এবং জুলাই’র ৪ তারিখে বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার। এর মাঝে আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রখর তাপে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং।  রংপুর বিভাগের বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন গড়ে ৮৮০ থেকে ৯০০ মেগাওয়াট।  এর বিপরীতে কমপক্ষে আড়াইশ মেগাওয়াট বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ঘন ঘন লোড শেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।  বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলাার সাথে যোগ হয়েছে খরতাপ। খরতাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে এখন প্রতিটি বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানের পাখার ব্যবহার বেড়ে গেছে। রং-বেরঙের পাখার সাথে রয়েছে তালপাতার পাখা। তালপাতার পাখার চাহিদা এখন সব চেয়ে বেশি।
 
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শাহী পাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যুত না থাকায় বাড়ির সদস্যরা তালপাতার পাখার বাতাসে নিজেদের শীতল করার চেষ্টা করছেন। ওই বাড়ির গৃহবধূ রুনা লায়লা বললেন, লোডশেডিং আর গরম থেকে রক্ষা পেতে তালপাতার পাখার বিকল্প নেই। 

কামালকাছনা এলাকার বাসিন্দা মাহামুদুল করিম বলেন, গরমের কারণে তালপাতার পাখার চাহিদা বেড়েছে। তিনি তিনটি তাল পাতার পাখা কিনেছেন ১০০ টাকা দিয়ে।
 
নগরীর কাচারি বাজার এলাকার এক পাখা বিক্রেতা বলেন, গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাখার দামও কিছুটা বেড়েছে। ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত একেকটি পাখা বিক্রি হচ্ছে। চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাজারে হাত পাখার চাহিদা একটু বেশি থাকে বলে তিনি জানান। 

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এধরনের আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থকতে পারে বলে জানান তিনি। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর