রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

শাহজালালে ১০৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

চোরাচালানে বিমান কর্মী!

শাহজালালে ১০৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

দুবাই থেকে আসা একটি উড়োজাহাজের সাতটি টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি স্বর্ণের চালান উদ্ধার করেছে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মেকানিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট আনিসকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। উদ্ধার করা ১০৬ কেজি স্বর্ণ শাহজালালে আটক স্বর্ণের চালানের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অরুণ আলো ০৫২ ফ্লাইটের টয়লেটে ৯৩৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এর ওজন ১০৬ কেজি। উড়োজাহাজটি সকাল ৯টায় ঢাকায় নেমেছিল। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর তল্লাশি চালিয়ে সোনার বারগুলো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আটককৃত আনিসের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। চোরাচালানে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন আনিসুজ্জামান। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তা জোনায়েদ ইকবাল জানান, সকালে বিমানের কর্মী আনিসের মোবাইলে বিদেশ থেকে একটি মেসেজ আসে। দেশের বাইরে থেকে মাসুদ নামে একজনের পাঠানো এই মেসেজের বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারেন। পরে আনিসকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই বিমানটিতে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন জানান, বাংলাদেশ বিমানের ওই উড়োজাহাজের সাতটি টয়লেটে স্বর্ণের বারগুলো ভাগ করে রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন কৌশলে ওই বারগুলো সেখানে রাখা হয়। বিমানের ভেতর যেসব কর্মী রয়েছেন, তাদের মধ্যেই কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে স্বর্ণ বেশি ধরা পড়ছে। তার মানে এই নয় যে, স্বর্ণের চোরাচালান বেড়েছে। স্বর্ণের চোরাচালান বেশি ধরা পড়ছে। এনবিআরের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভারত স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে। এ কারণে স্বর্ণের চোরাচালান বেড়েছে। তবে বৈধ উপায়ে স্বর্ণের আমদানিও বাড়ছে বলে জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, একজন যাত্রী ২০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ আমদানি করতে পারেন। সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্প্রতি ঢাকার শাহজালাল এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে চোরাই স্বর্ণ আটক হচ্ছে। ২১ এপ্রিল রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনজনের শরীর তল্লাশি করে ২০ কেজি স্বর্ণসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা সিঙ্গাপুর থেকে আসা ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। ১ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬২টি স্বর্ণের বারসহ দুবাই ফেরত দুজনকে আটক করা হয়। তাদের অন্তর্বাস ও পায়ের গোড়ালিতে পরা অ্যাংলেটের ভেতর স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। ওই স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ৭ কেজি ২০০ গ্রাম।

 

সর্বশেষ খবর