ভালো নেই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের নেপথ্য প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পায়ের সমস্যায় হাঁটাচলা করতে পারছেন না। উঠে দাঁড়াতে গেলে কোমরে ও হাঁটু ব্যথায় আঁতকে ওঠেন। রাজধানীর কলাবাগানের বাসাতেই নীরবে-নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদা’ খ্যাত সিরাজুল আলম খান। তবে এখনো দীর্ঘ রাত জেগে বই পড়ার অভ্যাস বজায় রয়েছে রাজনীতির এই রহস্য পুরুষের। কখনো কখনো সারারাতই বইয়ে মগ্ন থাকেন। ঘুমান দিনের বেলায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য গঠিত ‘নিউক্লিয়াসের প্রবক্তা’ সিরাজুল আলম খান দাদা দীর্ঘদিন ধরেই পায়ের অসুস্থতায় ভুগছেন। আগে লন্ডন-আমেরিকায় চিকিৎসাও করিয়েছেন। এখন বাইরে খুব একটা যান না। ঢাকায় মাঝে মধ্যে চিকিৎসকরা তার শারীরিক চেকআপ করেন। একসময়ে রাজনৈতিক সহকর্মীরাও এখন আর আগের মতো তার খোঁজখবর নেন না। অবশ্য পরিবারসহ নিকটাত্মীয়রাই সিরাজুল আলম খানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। অসুখে-বিসুখে থাকলেও বাসায় বসে এখনো নিয়মিত তাত্ত্বিক বই আর পত্রপত্রিকা পড়ে সময় কাটছে তার। খোঁজখবর রাখছেন দেশ-বিদেশের। প্রয়োজনে টেলিফোনেও কথা বলছেন। নানা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন তার অনুসারীদের। তবে প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে খুব একটা বের হন না। একসময়ে লন্ডন ও আমেরিকায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এখন বছরে সর্বোচ্চ একবার করে যান। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে গিয়েছিলেন লন্ডনে। একাধারে প্রায় তিন মাস থেকে চিকিৎসা করান তাত্ত্বিক এই রাজনীতিবিদ। আমেরিকায়ও ছিলেন কয়েকদিন। এখন বাসাই তার একমাত্র ঠিকানা। ৭৬ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই মারা যাওয়ায় পরিবারে এখন তিনিই সবার বড়। কলাবাগানের বাসায় একজন ব্যক্তিগত সহকারী রয়েছে তার। এ ছাড়া ছোট ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরাও তার সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন। এখনো তিনি দেশ নিয়ে ভাবেন। কিন্তু নিজের ভাবনা কারও সঙ্গে তেমন একটা শেয়ার করেন না। পা ও কোমরের ব্যথা ছাড়া তার বড় কোনো অসুখ নেই। মাঝে মধ্যে লাঠিতে ভর করে উঠে দাঁড়ান তিনি। একজন ভালো বক্তা ও সুলেখক হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। সিরাজুল আলম খান সত্য বলতে কখনো পিছপা হন না। রাখঢাক করেন না কোনোকিছু। দিনকে দিন, রাতকে রাত, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে অভ্যস্ত সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে ‘দাদা’ বলেও ডাকা হয়। তাত্ত্বিক এই রাজনীতিকের ছোট ভাই ফেরদৌস আলম খান গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘ভাই এখনো রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত জেগে পড়াশোনা করেন। দেশের সব পত্রপত্রিকাও পড়েন। দলমত নির্বিশেষে অনেকেই তার সঙ্গে দেখা করেন। কাউকে ভাই না করতে পারেন না। কেউ আসেন নিজের লেখা নিয়ে। লেখালেখির নানা দিকনির্দেশনা নেন ভাইয়ের কাছ থেকে।’
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ