বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মন্ত্রীর চাটুকারিতার জন্য আঙ্গুল তোলা অযৌক্তিক

শরীফ নুরুল আম্বিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

মন্ত্রীর চাটুকারিতার জন্য আঙ্গুল তোলা অযৌক্তিক

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর জন্য জাসদের দিকে আঙ্গুল তোলা অযৌক্তিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাসদের অন্য অংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিবিশেষের ‘‘অতি চাটুকারিতার জন্য’’ তাবৎ জাসদ সংগঠন ও নেতা-কর্মীদের ওপর আঙুল তোলা ‘‘অযৌক্তিক’’।’ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র তৈরির জন্য জাসদকে দায়ী করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ যৌথ বিবৃতিতে দেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান। হাসানুল হক ইনুর নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের মন্ত্রিবিশেষের ভূমিকা, অতি চাটুকারিতা নিয়ে জাসদকর্মীরা এমনিতেই বিব্রত। উক্ত মন্ত্রীর ওই লজ্জাজনক ভূমিকার কারণে সরকার, আশরাফ সাহেব ও তাদের সহকর্মীরা বিরক্ত, বিব্রত, বিক্ষুব্ধ এবং উত্ত্যক্ত বোধ করলে তারা তো তা সমাধান করতেই পারেন। সে জন্য তাবৎ জাসদ সংগঠন, নেতা ও কর্মীদের ওপর আঙুল তোলা তো অযৌক্তিক এবং দুঃখজনক।’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক মিত্রতার ইতিহাস তুলে ধরে আম্বিয়া ও প্রধানের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে কথা আশরাফ সাহেব উল্লেখ করেছেন তা আমাদের বিস্মিত করেছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। জাসদসহ সকলের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু স্মরণ করা উচিত, আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১০-দলীয়, ১৫-দলীয় জোট গঠন করে ইতিপূর্বে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সংগ্রাম করেছি।’  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঢালাও বক্তব্য দিয়ে তিনি যেসব বিতর্ক পুনরুজ্জীবিত করেছেন, তাকে আমরা অসময়োচিত এবং প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার শামিল বলে মনে করি। বঙ্গবন্ধুকে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে এবং কোন কোন আওয়ামী নেতার মদদ নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তা নতুন করে জনগণকে জানানোর কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না। তার এ বক্তব্য অসময়োচিত, বিভ্রান্তিকর এবং জাসদকর্মীদের জন্য বিব্রতকর। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগে জাসদপন্থিরা দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলার যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তা একান্তই কাল্পনিক ও অসত্য।’ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা নিজেদের ‘রাজনৈতিক অক্ষমতা’ ঢাকার জন্য জাসদের ভুলত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করে থাকেন বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।

সর্বশেষ খবর