শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকার জিরো টলারেন্সে। কেউ কোনো দেশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী তত্পরতা চালানোর জন্য বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহারের সুযোগ পাবে না। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতি মোহাম্মদ তাইব সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ  হাসিনা বলেন, দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের নিজস্ব স্বার্থেই এটি করা প্রয়োজন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন। বৈঠকে দারিদ্র্য দূরীকরণে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রুততার সঙ্গে দেশের উন্নয়ন সাধনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে কানেকটিভিটি উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট সম্পাদন এবং বাংলাদেশ-চীন-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এসব উদ্যোগের ফলে আমাদের সামনে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় কানেকটিভিটি সম্প্রসারণের পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশীয় সরকারের সহযোগিতাতেই দেশের মহেশখালীতে বর্তমানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মালয়েশিয়ার সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছে বলেও হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্পব্যয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে রাজধানীর অদূরে মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় শেখ ফজিলাতুন্নেসা কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তার সরকার দেশে একটি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেই সফরের মাধ্যমেই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের ভিত রচিত হয়। যা এখনো অটুট রয়েছে।

সর্বশেষ খবর