শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
আইনমন্ত্রী বললেন

বিচারককে প্রভাবিত করে খালাস পেয়েছিলেন তারেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারককে প্রভাবিত করে অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিম্ন আদালতে খালাস পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। গতকাল হাইকোর্টের রায়ে তারেকের খালাসের রায় বাতিল করে সাজা হওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ওই রায়ের দুই দিন পর পরিবার-পরিজন নিয়ে জজ সাহেব মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। আসার অনুরোধ করার পরেও, এমনকি চাকরি থেকে নোটিস দেওয়ার পরও আজ পর্যন্ত তিনি ফিরে আসেননি। অর্থ পাচারের মামলায় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ডসহ ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। খালাসের সেই রায় বাতিল করে গতকাল হাইকোর্ট তারেককে সাত বছরের কারাদণ্ডসহ ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেন। পাশাপাশি মামুনের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। তাকে জরিমানা কমিয়ে ৪০ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা করা হয়। তারেক রহমান লন্ডনে আছেন। আর মামুন আছেন কারাগারে। নিম্ন আদালতের সেই রায় প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি এ কথা এই রায়ের (হাইকোর্টের রায়) আগে কোনো দিন মুখ থেকে বের করিনি। আজ বলছি। কারণ উচ্চ আদালতে এটা প্রমাণিত হয়েছে, তিনি যে রায় দিয়েছিলেন তা ঠিক ছিল না।’ তারেকের আপিলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘লন্ডনে বসে আপিল হবে না। আমরা যদি তাকে ধরে আনতে পারি, অথবা তিনি যদি এসে আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে আপিল করতে পারবেন।’ যুক্তরাজ্য থেকে তারেককে ফিরিয়ে আনার সুযোগ কতটা, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তারেক রহমানের এত দিন কোনো মামলায় সাজা ছিল না। এ কারণে এত দিন সেভাবে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়নি। এখন করা হবে। তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দীবিনিময় চুক্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে গেলে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা আছে। চুক্তি করেও যদি আনতে হয়, তাহলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার চেষ্টা করব।’ তারেক রহমানকে দেশে এনে সাজা খাটাতে সব আইনি প্রক্রিয়াই সরকার নেবে বলে মন্ত্রী জানান।

সর্বশেষ খবর