‘বাংলাদেশে একজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যকরের পরপরই পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশের বিষয়টি পুরনো। স্বাভাবিক কারণে তাই এবারও মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান বিবৃতি দিয়েছে। এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান আবারও তার স্বভাবসুলভ আচরণ করেছে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে তা এখনই সরকারকে ঠিক করতে হবে। আর পাকিস্তান আমাদের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ এমনও নয়।’ শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করা নিয়ে পাকিস্তান সরকারের বিবৃতি প্রকাশের বিষয়টি সম্পর্কে এই ইতিহাসবিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে বুঝতে হবে যে, যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে পাকিস্তান সরকার প্রায় দিনই বাংলাদেশের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে “রিঅ্যাক্ট” করে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয় বলে আমি মনে করি। বিষয়টি দেখভালের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জঙ্গিবাদ দমন করার জন্য যে সার্ক টাস্কফোর্স গঠন করতে বলেছিলেন, দরকার হলে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই তা গঠন করা যেতে পারে। তবে এটি আমাদের সাধারণ মানুষের বক্তব্য। এ বিষয়ে সরকারকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।’ এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা প্রসঙ্গে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কার্যকরের বিষয়ে কে কী বলল তাতে আমাদের কিছু আসে-যায় না। বাংলাদেশ সরকার যদি মনে করে, তারা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করবে, তবে তারা নিজেদের মতো করেই তা পরিচালনা করবে। এ বিষয়ে করণীয় কী সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও প্রধানমন্ত্রী আছেন। তারা নিজেরাই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’ জামায়াতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘জামায়াতের অবস্থা যা আছে তা-ই থাকবে। কেননা এটি হচ্ছে একটি আদর্শিক লড়াই। আমরা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে, তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে বারবারই বলে এসেছি। জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে বের করে মুক্তিযোদ্ধা ও একাত্তরে নির্যাতিতদের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য আমরা দাবিও জানিয়েছি। এখন সরকার বিষয়টি মানলে মানবে আর তা না হলে জামায়াতের ভবিষ্যৎ কী হবে তা ধারণা করতে পারছি না। বিষয়টি স্পষ্ট যে, জামায়াতের ভবিষ্যৎ এখন সম্পূর্ণই সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’ সম্প্রতি দেশে জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, জানতে চাইলে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এই অর্থায়ন বিদেশ থেকে যেমন হতে পারে, আবার স্থানীয়ভাবেও হতে পারে। আর এ অর্থায়নের উেসর বিষয়টি খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এ বিষয়ে নজরদারির কাজও রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের। তবে আমরা সব সময়ই একটি কথা বলে এসেছি। আর তা হলো, সব ধরনের জঙ্গিবাদেরই মূলে আছে জামায়াতে ইসলাম।’
শিরোনাম
- ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র্যাব
- নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
- সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
- মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
- পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
- গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
- ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬
- গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি
- হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
- পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
পাকিস্তান আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়
জিন্নাতুন নূর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর