সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, বিএনপির ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল দলটির ঐতিহাসিক ভুল। তিনি বলেন, নির্বাচনের বড় সমস্যা কমিশনের ওপর জনগণের আস্থার অভাব। যে দল পরাজিত হয়, তারা ফল বর্জন করে। কী করলে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা তৈরি হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক, গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, আলী ইমাম মজুমদার, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, রাজনীতিবিদ শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘অনেক দেশে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিশন গঠন করা হয়। এটি ভালো কৌশল। আমরা কমিশনার নিয়োগ আইনের যে খসড়া তৈরি করে দিয়েছিলাম, সেখানে এ কথা বলা ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর মত নিয়ে কমিশন গঠন করা হলে জনগণের আস্থা তৈরি হবে।’ তিনি বলেন, জনগণের আস্থা থাকলেও সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সাবেক এ সিইসি বলেন, নিরপেক্ষ ও আস্থাযোগ্য কমিশন গঠন করতে হলে একটি পদ্ধতি বের করতে হবে। সেটি করা হলে ইসির ওপর জনগণের আস্থা তৈরি হবে। যারা হারবে, তাদের ফল মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ফল বর্জন করা যাবে না। এসবের কারণে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট হয়ে যায়। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইসির পুনর্গঠন হলে গণতন্ত্র উদ্ধার হবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। ইসি সঠিকভাবে গঠিত না হলে পরিণতি খারাপ হয়। কেয়ারটেকারের সময় যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। সরকার ইসিকে সহযোগিতা না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সঠিক নির্বাচনের জন্য সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে কমিশন গঠন করতে হবে। আর এ জন্য সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে। যাতে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিরা কমিশনে নিয়োগ পান। অতীতে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সঠিক ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগ না দেওয়ার কারণে সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন হলেও অনেক ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্যরা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ইসি পুনর্গঠন নিয়ে মানুষের মনে সংশয় আছে। আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ আশঙ্কা করছে, সরকার হয়তো এমন কাউকে নিয়োগ দেবে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। এ আশঙ্কা সরকারকেই দূর করতে হবে। যাদের নিয়োগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে, নির্বাহী দক্ষতা আছে, তাদের নিয়েই কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা যেতে পারে। ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী চাইলেই দেশে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। শাহ্দীন মালিক বলেন, ভবিষ্যতেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ফলাফল কী হবে তা সবারই জানা। বলা যেতে পারে সরকারি দল দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাবে। জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম সবার কাছে গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।
শিরোনাম
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
নির্বাচন বর্জন বিএনপির ঐতিহাসিক ভুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর