সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ভোট নিয়ে উত্তাপ

সুনামগঞ্জ গাইবান্ধায় উপনির্বাচন প্রস্তুতি

সুনামগঞ্জ ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) ও সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২২ মার্চ গাইবান্ধা-১ ও ৩০ মার্চ সুনামগঞ্জ-২ আসনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। গাইবান্ধা-১ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা)-সহ মোট ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আগামী ১ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ দিনে প্রার্থী সংখ্যা কমতেও পারে।

এদিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ড গতকাল রাতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তের নাম ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগের দুর্গ দিরাই-শাল্লায় তিনিই হলেন সুরঞ্জিত সেনের উত্তরসূরি। তবে এই আসনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য আটজন আওয়ামী লীগ নেতা চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ৭ প্রার্থী : জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২২ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক জাতীয় পার্টির এমপি ডা. কাদের খান গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকায় এসব বিষয় নিয়েই রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম রয়েছে। এই পরিবেশেও প্রার্থীরা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাতায়াত শুরু করেছেন। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা, জাসদের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খান, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মহসিন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদ বলেন, আগামী ১ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন। এরপর আমি আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামব। এখন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দোয়া প্রার্থনা করছি। লিটন হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় আলোচনা থাকলেও মানুষ ভোটের ব্যাপারে আগ্রহী বলে তিনি জানান। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খান সাম্প্রতিক লিটন হত্যায় দায়ী হওয়ার জন্য ভোটারদের সহানুভূতি আওয়ামী লীগের প্রতিই রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বর্তমানে এলাকায় না থাকলেও তার কর্মীরা তার পক্ষে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান উপজেলা জাপার দফতর সম্পাদক রাকিব মো. হাদিউল ইসলাম। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় এখনো নির্বাচনী পরিবেশ নেই। লিটন হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোক এবং কাদের খান এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ায় সেগুলোই টক অব দ্য টাউন। তবে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে তারা মনে করছেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমপি লিটন নিহত হওয়ায় এ আসনটি শূন্য হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় শূন্য আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। গ্রেফতার কাদের খানও নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর