সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যু

চারজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক

চারজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড

রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলের পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু জিহাদেও মৃত্যুর মামলায় চার আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি দুজনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। গতকাল আসামিদের উপস্থিতিতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসআর হাউসের মালিক আবদুস সালাম, রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর আহমেদ। এ ছাড়া খালাস পাওয়া দুজন হলেন রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও দীপক কুমার ভৌমিক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার বাদী শিশু জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে জামিনে থাকা ছয় আসামিও আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি জানান, রায়ের আদেশে বিচারক বলেছেন, আসামিরা যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। আসামিদের অবহেলার কারণেই শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘এ মামলায় সাক্ষীরা আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ কারণে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’ ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকালে শিশু জিহাদ পাইপের মধ্যে পড়ে গেলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানের পরদিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দেয়। এরপর কয়েকজন যুবক নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই পাইপ থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের পর ডিবি পুলিশ গত বছরের ৩১ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর গত বছরের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর