মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রক্তাক্ত ফিলিস্তিন

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস, ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ৫২

প্রতিদিন ডেস্ক

রক্তাক্ত ফিলিস্তিন

আগে থেকেই জেরুজালেমে আমেরিকার দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ডেকেছিল ফিলিস্তিনিরা। সেই বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ও আগুন ছুড়েছে। এতে নিহত হয়েছেন ৫২ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার মানুষ। নিহত মধ্যে ১৪ বছরের শিশুও রয়েছে। অনেকে পুড়ে মারা গেছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গতকাল সকাল থেকে ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রমের চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা। তখনই ইসরায়েলি বাহিনী আগুন ও গুলি ছুড়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী  এ ব্যাপারে বলছে, ‘বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ১০ হাজার বিক্ষোভকারীকে নিয়ন্ত্রণে ঠিক যতোটুকু আগুন ছুড়ে নিয়ন্ত্রণের বিধিমালা রয়েছে, তারা সে অনুযায়ীই আগুন ছুড়েছে।’  মাস দেড়েক আগে ভূমির অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। সে সময় থেকে মাঝেমধ্যেই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলিরা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে ১৪ মে (গতকাল) তারা তাদের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে। জেরুজালেমকে নিজেদের ‘শাশ্বত ও অখণ্ড’ রাজধানী বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল।

 কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে ও গতকাল সেখানে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়। কারণ ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেম দাবি করে আসছে। ফলে ফিলিস্তিনিরা মার্কিন এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে এর প্রবল বিরোধিতা করেছে। শুধু ফিলিস্তিনিরা নয়, মার্কিন ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ ও সমালোচনা করছে গোটা বিশ্ব। জেরুজালেমে আমেরিকার যে কনস্যুলেট ভবন আছে সেখানেই ছোট পরিসরে অন্তর্বর্তীকালীন এ দূতাবাসটি চালু করা হচ্ছে। পরে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস ভবন নির্মিত হলে তেল আবিব থেকে দূতাবাসের অপরাপর অংশও সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।

ইসরায়েলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সঙ্গে মিলানোর জন্য মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এগিয়ে আনা হয়। এদিকে জেরুজালেম দূতাবাসের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জারেড কুশনার। তাদের পাশাপাশি মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মুচিন ও উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভানও অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন। গত বছর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ থাকার কয়েক দশক ধরে অনুসৃত নীতি থেকে সরে আসে আমেরিকা। দেশটির এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। এএফপি, আলজাজিরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর