মাহে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের শিক্ষা দেয়। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহপাক ওই বান্দাদের খুব পছন্দ করেন এবং তিনি ওই বান্দার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান যে বান্দা প্রতিটি লোকমা মুখে দেওয়ার সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এবং পানির প্রতিটি ঢোক পান করার সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। অর্থাৎ যে বান্দা প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে আল্লাহতায়ালা তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। (মুসলিম শরিফ কিতাবুয যিকরে ওয়াদ দোয়া, হাদিস নং-২৭৩৪) মূলত কৃতজ্ঞতা বা শুকরিয়া আদায় করা শত ইবাদতের মধ্যে অন্যতম ইবাদত। অন্যান্য ইবাদত যেমন একজন ইমানদার গুরুত্ব সহকারে আদায় কমর, অনুরূপ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে শুকরিয়া আদায় করাও ইমানদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে শুকরিয়া আদায় করার অভ্যাস গড়তে হবে। বর্তমান মাহে রমজান আমাদের মাঝে বিদ্যমান। রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত বরকতময়। আল্লাহতায়ালা আমাকে বরকতময় সময়ে সাহরি খাওয়ার তাওফিক দান করেছেন, দিনে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াত করার শক্তি দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করি। ইফতারের সময় উপস্থিত হলে শুকরিয়া আদায় করি যে, পুরো দিন আল্লাহর হুকুম পালন করার পর এখন তিনি আমাকে খাবারের সামনে উপস্থিত করেছেন। তিনি শক্তি দিলে কিছুক্ষণ পরই খাবার মুখে দিব ইনশাআল্লাহ। এশার সময় অনেক সময় ধরে সালাতুত তারাবিহ আদায় করি। তার জন্য শুকরিয়া আদায় করে মনে-প্রাণে বলি (আলহামদুলিল্লাহ)। আল্লাহ সব প্রশংসা আপনারই জন্য। তিনি আমাকে রহমত ও মাগফিরাতের ১০ দিন রোজা পালন করার তাওফিক দান করেছেন এবং এখন নাজাতের ১০ দিনের রোজা পালন করছি। তাই প্রাণটা ভরে বারবার বলি (আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা মানবাত্মায় প্রভাব বিস্তার করে। মনের সব খারাপিগুলোর মূলোৎপাটন করে, অহংকার ও হিংসা-বিদ্বেষ দূর করার মহাঔষধ। আমাদের বড়রা বলে থাকেন, ‘যে ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাকদিরের ওপর বিশ্বাস করে এবং বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করে ওই ব্যক্তি সাধারণত অহংকার বা তাকাব্বুরে লিপ্ত হয় না’। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সর্ব অবস্থায় শুকরিয়া আদায় করবে না এবং পদে পদে অহংকার বা তাকাব্বুরে লিপ্ত হবে সে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে মাহরুম হবে। যেমন মহান রব্বুল আলামিন ইবলিসকে আদেশ করেছেন হজরত আদম আলাইহে ওয়াসাল্লামকে সিজদা করার জন্য। সে আল্লাহর আদেশ মান্য না করে অহংকার করেছে। পরিণামে আল্লাহর রহমত থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত হয়েছে। প্রিয় পাঠক! পবিত্র রমজানে প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি। শুকরিয়া আদায় করা যেহেতু ইবাদতের মধ্যে অন্যতম ইবাদত, তাই মাত্র কয়েকটি রোজা বাকি আছে। অধিক সওয়াবের আশায় সবাই বলি (আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু ওয়া লাকাশ শুকরু) হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা এবং সকল শুকরিয়া আপনারই প্রাপ্য। আল্লাহতায়ালা আমাদের সকল রোজাদার ভাই-বোনদের অধিক শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন। লেখক : মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও খতিব, বারিধারা
শিরোনাম
- আজ বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
- ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
- ভাঙ্গায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
- লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীবাহী নৌকায় আগুন, নিহত অন্তত ৫০
- ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
- গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
- তিন বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
- ১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
- দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’
- যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
- টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে হলুদের আবাদ, স্বপ্ন দেখছে কৃষক
- আইফোন ১৮ সিরিজে থাকবে না যে ফিচার
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে
- ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে স্বস্তি: ঋণের মেয়াদ বাড়বে সর্বোচ্চ ১০ বছর
- খাদ্য মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্য
- যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
- ইসলামী অর্থনীতিতে বাজারদর নির্ধারণের ন্যায়সংগত পথ
- খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
রোজা রেখে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি
মুফতি আমজাদ হোসাইন হেলালী
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর