শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটের প্রস্তুতি ইসিতে

ছাপানো হয়েছে মনোনয়নপত্র; তফসিল আগামী সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটের প্রস্তুতি ইসিতে

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন-ইসি। এ লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র ছাপানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে একটি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী সপ্তাহে নারী আসনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে সচিব বলেন, আগামী এপ্রিল থেকে প্রবাসীদের ভোটার করার কাজ শুরু করা হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে সিঙ্গাপুরে যেসব বাংলাদেশি থাকেন তাদের ভোটার করা হবে। ৫-৭ দিনের মধ্যে তাদের ভোটার করতে একটি টিম সিঙ্গাপুরে যাবে। এরপর দুবাইয়ে প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম শুরু করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। সব কিছু দ্রুত শেষ হলে এ অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যরা যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জানুয়ারি ভোটের ফলাফলে ২৯৮ আসনের নির্বাচিতদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি ৫টি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাসদ দুটি, গণফোরাম দুটি, বিকল্পধারা দুটি, তরিকত ফেডারেশন একটি, জেপি একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি আসন পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে পুনঃভোটের পর বিএনপি আরও একটি আসন পেয়েছে বুধবার। ৩০০ আসনের মধ্যে বাকি থাকা গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি। জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন-২০০৪ অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের জন্য কমিশন দল ও জোটওয়ারি তালিকা তৈরি করবে এবং ভোটার তালিকা ইসিতে টানিয়ে দেবে। দল বা জোটে যোগ দেয়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে চিঠিও দেবে ইসি সচিবালয়। আইন অনুযায়ী, ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০ সংরক্ষিত আসন দল বা জোটের অনুকূলে আসন বণ্টন করা হবে। সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে প্রতি আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত আসন দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ১৬৭টি। বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান চারজন মনোনীত প্রার্থীর তালিকা স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন। ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানান, কমিশন সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে।  সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহার ও ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে বলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন অনুযায়ী, সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণকারী ব্যক্তিরাই সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে ভোটার হবেন।

শপথগ্রহণের অব্যবহিত পরবর্তী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ইসি সচিবালয়ে সংসদ সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করে পাঠায় সংসদ সচিবালয়। তফসিল ঘোষণার আগে একাদশ সংসদের দল ও জোটভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। ভোটের তারিখের আগের দিন পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধন করে হালনাগাদ করতে পারবে ইসি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের নির্বাচিত সদস্যরা এখনো শপথ নেননি।

সর্বশেষ খবর