বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

অল্প সাজার আসামি কারাগারের বাইরে রেখে সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় দণ্ডিত অপরাধীদের কারাগারের বাইরে রেখে সংশোধনসংক্রান্ত ‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০’-এর বিধানাবলির প্রয়োগ ও প্রতিপালনে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর  রহমান বলেন, ‘কারাগারের বাইরে আসামিকে রেখে তার সংশোধনে সুযোগ দিতে আমাদের “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” নামে একটি আইন রয়েছে। কিন্তু আইনটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্বল্প সাজার আসামিরা কারাগারে বড় বড় অপরাধীর সঙ্গে থেকে ভবিষ্যতে বড় অপরাধী হয়ে উঠছে। তাই সংশ্লিষ্ট আইনের বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই দি ত অপরাধীদের সাজাভোগের নিমিত্ত কারাগারে পাঠানো হয়। এতে দেশের কারাগারসমূহে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়াসহ দেশের একটি প্রচলিত আইনের বিধানকে সরাসরি অবজ্ঞা করা হচ্ছে। ফলে কারাগারের পরিবেশসহ সমাজে এক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হতে চলেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০’-এর বিধানাবলির যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

এখানে কর্তব্য যে, আমাদের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীকে সব ক্ষেত্রেই সাজা আরোপ করা আইন সমর্থন করে না; কেননা সাজা প্রদানের উদ্দেশ্য সংশোধনমূলক, প্রতিহিংসামূলক নয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০’-এর ৪ ধারার বিধান অনুযায়ী পূর্বে দি ত হয়নি এমন কোনো অপরাধী অনধিক দুই বছরের কারাদে  দ নীয় কোনো অপরাধের জন্য দি ত হলে আদালত অপরাধীর বয়স, স্বভাব-চরিত্র, প্রাক-পরিচয় অথবা শারীরিক বা মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের ধরন অথবা অপরাধ সংঘটনে শাস্তি লাঘবকারী পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি মনে করেন, দ  প্রদান অসমীচীন এবং প্রবেশনের আদেশ প্রদান করা যথাযথ নয়, তাহলে আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করে সতর্ক করে অপরাধীকে অব্যাহতি দিতে পারে অথবা উপযুক্ত মনে করলে আদেশে বিবৃত সময় থেকে অনধিক এক বছর সময়ের জন্য কোনো অপরাধ না করার এবং সদাচরণে থাকার শর্তে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়া মুচলেকা প্রদানে বিমুক্ত হওয়ার আদেশ দিতে পারে।

সর্বশেষ খবর