একাত্তরের এই দিনে গোটা দেশ ছিল অসহযোগ আন্দোলনে উত্তাল। এ দিন সামরিক সরকার ১১৫ নং সামরিক আদেশ জারি করে। আদেশে ১৫ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগের বেসামরিক কর্মচারীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজে যোগদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত ও পলাতক ঘোষণা করা হবে। সামরিক আদালতের বিচারে নির্দেশ অমান্যকারীদের দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। এ নির্দেশ জারির পরই বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যখন আমরা সামরিক শাসন প্রত্যাহারের জন্য বাংলার জনগণের প্রচ দাবির কথা শর্তের প্রতি ঘোষণা করেছি ঠিক তখন নতুন করে এ ধরনের সামরিক নির্দেশ জারি করা পক্ষান্তরে জনসাধারণকে উসকানি দেওয়ার শামিল।’ তিনি বলেন, ‘জনগণকে যত ভয়ই দেখানো হোক না কেন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’ ভৈরবে এক জনসভায় মওলানা ভাসানী বলেন, ‘পূর্ববাংলা এখন মূলত স্বাধীন, বাঙালি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠনের অপেক্ষায়।’ ন্যাপ সভাপতি খান আবদুল ওয়ালী খান ও গাউস বক্স বেজেঞ্জো সকালে করাচি থেকে ঢাকায় আসেন। বঙ্গবন্ধুর চার দফা সমর্থন জানিয়ে বিমানবন্দরে ন্যাপপ্রধান বলেন, ‘বর্তমান সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমি খোলা মনে ঢাকায় এসেছি। সামরিক শাসন প্রত্যাহার ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্নে আমি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে একমত।’ আজম খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরই বর্তমান সমস্যার একমাত্র সমাধান।’ একই দিনে জমিয়াতুল ওলামা ইসলামিয়া সংসদীয় দলের নেতা মাওলানা মুফতি মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে (১) পূর্ব পাকিস্তান থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার, (২) ২৫ মার্চের আগে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং (৩) সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় প্রতিটি গ্রাম, শহর, বন্দর, নগরে চলতে থাকে তীব্র অসহযোগ আন্দোলন। এ দিনও অব্যাহত ছিল খেতাব ও পদক বর্জন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ও সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য আবদুল হাকিম পাকিস্তান সরকার প্রদত্ত খেতাব ও পদক বর্জন করেন। চট্টগ্রামে বেগম উমরতুল ফজলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে বাংলাদেশের জনগণের পরিপূর্ণ মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বিলাসদ্রব্য বর্জন ও কালো ব্যাজ ধারণের জন্য নারী-পুরুষ সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। চট্টগ্রামবাসীকে আসন্ন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানানো হয়। এদিন জাতিসংঘ ও পশ্চিম জার্মান দূতাবাসের কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গসহ ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার ২৬৫ জন নাগরিক বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ত্যাগকারীদের বাড়ি, গাড়ি, সম্পদ কিনে বাংলার অর্থ বিদেশে পাচারে সহযোগিতা না করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
শিরোনাম
- আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ : আইজিপি
- ক্যামেরুনে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে সংঘর্ষ, নিহত ৪
- সরকারের উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার তা হলো নির্বাচন আয়োজন : শ্রম উপদেষ্টা
- দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহী পাকিস্তান : অর্থ উপদেষ্টা
- বিএনপি সরকার গঠন করলে বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেবে : আমীর খসরু
- লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত
- নিত্যপণ্যের দাম সাশ্রয়ের মধ্যে রাখতে পেরেছে সরকার : খাদ্য উপদেষ্টা
- জামালপুরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ৪ জনের মৃত্যু
- ৪ মাসে মোংলায় নোঙর করেছে ২৫৫ বিদেশি জাহাজ
- মালিতে ভয়াবহ জ্বালানি সংকট, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
- ঢাবির হলে ধূমপানে জরিমানা, গাঁজা সেবনে বহিষ্কার
- চট্টগ্রামে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- বাগেরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র্যালি
- নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ: ইসি সচিব
- এশিয়ান গেমসের স্বর্ণজয়ী খেলোয়াড়ের মরদেহ উদ্ধার
- ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩
- এমআরআই পরীক্ষা করিয়েছেন ট্রাম্প
- এনসিএল চলাকালে স্ট্রোকে বরিশালের ফিজিওর মৃত্যু
- যুক্তরাজ্যে গবেষক ভিসার খরচ আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় ২২ গুণ বেশি
- ২০ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু সংবিধি পাস
বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা : যত ভয়ই দেখানো হোক আন্দোলন চলবে
তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস
২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি
৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম