দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে নগরীর কাজীর দেউড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। অথচ খাতুনগঞ্জ থেকে কাজীর দেউড়ি বাজারে এলে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যায় কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা; যা অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বাজার-বিশ্লেষকরা। পাইকারির সঙ্গে খুচরা বাজারের অস্বাভাবিক এই পার্থক্যের জন্য খুচরা ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার মনোভাবকেই দায়ী করেছেন তারা। পাইকারি ও খুচরা বাজারের ভোগ্যপণ্যের দরের এ তফাৎকে ‘গলা কাটা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এ কে এম নাজের হোসেন। তিনি বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতা এবং বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টা মাথায় রেখে সক্রিয় হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’ খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীদের ভোগ্যপণ্যে সাধারণত কেজি প্রতি দুই থেকে আড়াই টাকা লাভ করা উচিত। এর চেয়ে বেশি লাভ করলে তা ক্রেতাদের জবাই করার শামিল।’ তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সারা বছর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পণ্য পরিবহন ও এই সংক্রান্ত খাতে অযাচিত ব্যয় ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।’ পাইকারি ও খুচরা বাজারের পণ্যের দামের ব্যাপক পার্থক্যের জন্য কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে রয়েছে বাজার মনিটরিংয়ে অভাব, টিসিবি অকার্যকর হওয়া, খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিক মুনাফার প্রবণতা, পরিবহন ও এ সংক্রান্ত অযোচিত ব্যয় বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা প্রদান অন্যতম। অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের ভোগ্যপণ্যেও বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামের চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভোগ্যপণ্য এ দুই বাজার থেকেই সরবরাহ হয় সারা দেশে। এ দুই বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন খরচ পড়ে কেজি প্রতি ৫০ পয়সা থেকে ১.২০ টাকা। এই অবস্থায় চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের চেয়ে দুই থেকে আড়াই টাকা বেশি দামে ভোক্তারা পণ্য পাওয়ার কথা। বাস্তবে সাধারণ ভোক্তাদের সেই পণ্য কিনতে হচ্ছে কেজি প্রতি পাঁচ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে। চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি চিনি ৪৮ থেকে ৪৯ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। আর ছোলা ৬৮ থেকে ৭৪ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পিয়াজ ১৪ থেকে ১৬ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন ২৪ টাকা থেকে ২৭ টাকা। আর রসুন ৯০ টাকায় কিনে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এ ছাড়া অন্যান্য ভোগ্যপণ্যেও কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত লাভ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শিরোনাম
- নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
- সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
- যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
- ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
- জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
- ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
- লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
- ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
- ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
- জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
- শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
- বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
- ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র
- আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
- বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস
- বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- ২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- বগুড়ায় খাবার অযোগ্য বিট লবণ জব্দ, লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামে ভয়াবহ কারসাজি
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর