সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
শিক্ষাবিদরা যা বললেন

যোগাযোগ অদক্ষতায় র‌্যাঙ্ক পাইনি

ড. এ কে আজাদ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

যোগাযোগ অদক্ষতায় র‌্যাঙ্ক পাইনি

ওয়ার্ল্ড র‌্যাংঙ্কিংয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকা ‘আশাহত করেছে’ এই মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, র‌্যাংক না পাওয়ার পেছনে শুধু গবেষণা বা শিক্ষার মানের ঘাটতি নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যোগাযোগ অদক্ষতাও বড় কারণ। তারা র‌্যাংকের ব্যাপারে উদাসীন। অথচ, এটা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ‘গবেষণা ও পড়াশোনায় আন্তর্জাতিক মান তো দূরের কথা, আঞ্চলিক মানও রাখতে পারছি না। ১৯৯৬ সালে আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় এশিয়া উইক প্রকাশিত সেরা ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। পরের বছর থেকে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। সামগ্রিক চেষ্টায় ১৯৯৮, ’৯৯ ও ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউকের তালিকায় প্রথম ছিল। এখন যেটুকু গবেষণা হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ হচ্ছে না। দেশের গি তে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফ্যাকাল্টি জার্নালে, দেশের বিভিন্ন অনলাইনে গবেষণা প্রকাশ হলে যদি প্রমোশন পাওয়া যায় তাহলে শিক্ষকরা কেন এত কষ্ট করে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করতে যাবে? সেখানে আর্টিকেল ও গবেষণা প্রকাশ করতে হলে  সেটা উচ্চমানের হতে হয়, অপেক্ষা করতে হয়।’

রাজনৈতিক কারণে শিক্ষক নিয়োগে মান রক্ষা হচ্ছে না দাবি করে এ শিক্ষাবিদ বলেন, মেধাবী শিক্ষক না হলে শিক্ষার মান বাড়বে না, গবেষণার মানও বাড়বে না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রচারও হবে না। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আবার র‌্যাংকে নিয়ে আসা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। মানসম্মত গবেষণা ও আর্টিকেল আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলতে হবে। তাহলে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংক পাবে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পারলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন পারবে না?

সর্বশেষ খবর