বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবনতির দিকে শিক্ষার মান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবনতির দিকে শিক্ষার মান

ড. ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষার হার, শিক্ষার অভিগম্যতার হার বৃদ্ধি করতে পারা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। কিন্তু যারা এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণভাবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন, তাদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে আমাদের শিক্ষার গুণগত মান ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে টিআইবি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন’। জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ আগস্ট দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বের কথা বলছি, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হলে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তাই আমরা চাই বাংলাদেশে গুণগত শিক্ষার বিকাশ ঘটুক। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণেরা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা যখন নিজেদের হাতে দায়িত্ব তুলে নেয়, তুলে নেওয়ার মতো পরিবেশ পায়, তখন তারা অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। সেই জায়গাটায় যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করা সরকারের দায়িত্ব। এবারের আন্তর্জাতিক যুব দিবসে মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে টিআইবি ১২ দফা সুপারিশ পেশ করেছে। টিআইবির কর্মকর্তা ও সদস্যদের অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, টিআইবি কর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। সিইসি ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি : জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণের নামে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা ও পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে অভিযুক্তদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। গতকাল এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা কর্তৃক এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অনভিপ্রেত।

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে পুরো একটি কমিশনের পদস্থ প্রায় সব কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নজিরবিহীন। নির্বাচন কমিশনের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পুরো কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর