রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

চামড়া সংকটের ত্বরিত সমাধান প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চামড়া সংকটের ত্বরিত সমাধান প্রয়োজন

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, চামড়া খাতের চলমান সংকটের ত্বরিত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। সরকারের উচিত ছিল সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এ ইস্যুকে আরও সুষ্ঠুভাবে তত্ত্বাবধান করা। কিন্তু এখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। রপ্তানির সিদ্ধান্তটাও নেওয়া দরকার ছিল আরেকটু আগে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংকট সৃষ্টিতে এটাও কিছুটা দায়ী। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থের প্রথম উপকারভোগী হিসেবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতি তো আর এই চামড়া দিয়ে পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার চামড়াগুলো এখন যাদের হাতে রয়েছে তাতে দাম বাড়ালে তারাই উপকৃত হবেন। আবার ব্যাংক ঋণের স্বল্প সুদের সুবিধা হয়তো ট্যানারি মালিকরাই পাবেন। এর কোনোটাতেই এতিমরা উপকৃত হবে না। চামড়া রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা হয়তো স্থানীয় চামড়ার বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত কী পরিমাণ চামড়া আমাদের উৎপাদন হয় সেটাও নিরূপণ করা জরুরি। তাহলে কিছু পরিমাণ চামড়া হয়তো রপ্তানিও করা যাবে প্রতি বছর। তিনি বলেন, আড়তদাররা ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এটা কোনো সমাধান নয়। চামড়া তো আর রেখে দেওয়ার জিনিস নয়। কারও না কারও কাছে বিক্রি করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী চামড়া ব্যবসায়ীদের নিয়ে আজকে যে বৈঠক ডেকেছেন সেখানে হয়তো একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। প্রতি বছরই এ খাতে কিছুটা অস্থিতিশীলতা থাকে কিন্তু এ বছর কেন এমন গভীর সংকট তৈরি হলোÑ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো নতুন কোনো বিষয় নয়। সরকার যে কোনো কিছু প্রকিউরমেন্ট করতে গেলেই সমস্যার তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সমস্যা থাকে। গত মৌসুমে ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রেও একই রকম সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে সরকারের উচিত হবে এমন একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যার মাধ্যমে এ খাতের চলমান সংকটের দ্রুত সমাধান হবে। পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর