বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রত্যাবাসনের জন্য সাক্ষাৎকারে এলেন হাতে গোনা কয়েকজন

পাঁচ শর্ত পূরণ না হলে স্বদেশে ফেরত যাবে না রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

শর্ত পূরণ না হলে আগামীকাল স্বদেশে ফেরত যেতে রাজি নয় প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা। গতকাল টেকনাফের শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের কার্যক্রম। এ সময় ২১ জন রোহিঙ্গার মতামত গ্রহণ করেন ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা। এসব প্রতিনিধিকে ‘শর্ত পূরণ না হলে যাবেন না’ বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রোহিঙ্গারা। ২২ আগস্ট ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে মিয়ানমার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। এদিকে বিকালে শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করেছে রোহিঙ্গারা। ক্যা¤ন্ডেপ মতামত দিয়ে বেরিয়ে আসা রশিদ আমিন বলেন, ‘নাগরিক অধিকার, নিরাপত্তাসহ যে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো না মানলে আমরা কখনো মিয়ানমার ফেরত যাব না। মিয়ানমার আমাদের চিহ্নিত করেছে, সেটা ঠিক আছে।’ মতামত দিয়ে বের হওয়া শালবাগান ক্যা¤ন্ডেপর ডি-২’র বাসিন্দা মো. রিয়াজ বলেন, আমরা সেই পুরনো দাবিগুলো তুলে ধরেছি। নাগরিকত্ব ও মিয়ানমারের যে ১৩৫ জাতি রয়েছে তাদের মধ্যেও আমরা নেই। সেই দাবিগুলো পূরণ হলে ফিরব। আরেক রোহিঙ্গা রুহুল আমিন বলেন, দাবি না মানলে ফিরে যাওয়া কঠিন হবে। কারণ নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব ছাড়া সেখানে গেলে আবারও মিয়ানমারের সহিংসতার শিকার হতে পারি আমরা। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রত্যাবাসনের ঘোষণা দিয়েছে। এটা তাদের একটা চক্রান্ত।

এদিকে ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গারা যদি স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হয় তাহলে আমরা চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করব। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছুই করব না আমরা। তাই তাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গার তালিকা পাঠায় মিয়ানমার। যারা সে দেশের বলে চিহ্নিত করে মিয়ানমার। এসব রোহিঙ্গাকে নিয়ে প্রথম ধাপে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রক্রিয়া চলছিল।

সর্বশেষ খবর