মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুক্তিযুদ্ধে হুমায়ুন রশীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী অসীম সাহসিকতায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। তিনি ভারত ও ভুটানসহ ৪০টিরও বেশি দেশকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের  সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আলী আশরাফ এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বোন জেবা রশিদ চৌধুরী এবং ডা. সামন্ত লাল সেন বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে প্রথম বাঙালি হিসেবে সভাপতিত্ব করার বিরল গৌরব অর্জন করেন। একজন কূটনীতিক হিসেবে, একজন সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে জাতি গঠনে তিনি যে সাহসী ও ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন, আমি মনে করি, তা বিরল। তিনি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন সফল কূটনীতিকের পাশাপাশি একজন বিজ্ঞ আইন প্রণেতাও। ১৯৮৬, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬ সালে তিনি সিলেট-১ থেকে জাতীয় এমপি নির্বাচিত হন। তিনি জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও বিভিন্ন যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সংসদকে প্রাণবন্ত রাখতেন। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ছিল অগাধ শ্রদ্ধা। তিনি জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত থাকাকালে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নৃশংসভাবে নিহত হলে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের উদ্যোগ নেন।

 রাষ্ট্রপতি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।

এটা সম্ভব হয়েছে তার নীতি-আদর্শ, সাহসিকতা, আন্তরিকতা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে। তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের জন্য নীতি ও আদর্শ মেনে চলা খুবই জরুরি। নেতৃত্ব সঠিক পথে পরিচালিত হলে দেশ, জাতি এবং দলও সঠিক পথে এগিয়ে যায়। রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের কল্যাণ। রাজনীতি কোনো পেশা নয় যার বিনিময়ে গাড়ি বাড়ি করা যায়। কিন্তু আজকাল দেখা যায়, ছোটখাটো নেতা হলেই টাকা, গাড়ি আর বাড়ির অভাব হয় না। একটা শ্রেণি রাজনীতিকে ব্যবসা আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। রাজনীতিতে এ সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও আগ্রহ কমে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর