আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমাদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। মানবাধিকার হরণ করা বড় ডাকাতি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, জনগণ দেশের মালিক। অথচ আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না। শহীদেরা অধিকার দিয়ে গেছেন জীবন দিয়ে। আমরা অন্যায়ের সামনে আত্মসমর্পণ করা জাতি না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর এই স্বাধীন দেশের মানুষ যেন তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে সে জন্য আমরা একটি সংবিধান প্রণয়ন করেছি। জনগণ ক্ষমতার মালিক, তাই তাদের আকাক্সক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই সংবিধান করা হয়েছে। কিন্তু আজ দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ড. কামাল হোসেন বলেন, মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বড় অপরাধ। মানবাধিকার লঙ্ঘন যারা করে তারা মহা অপরাধী। তাদের আইনের আওতায় আনতে হলে বৃহৎ ঐক্যের প্রয়োজন। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত যারা করছে তারাও বড় অপরাধী। তিনি বলেন, আমরা পরাধীন জাতি না। আমরা বিজয়ী জাতি। বাঙালি জাতি নির্যাতন সহ্য করার জাতি না। ভোটবাক্স ভর্তি করে নিলেও দেশের মালিকানা কেউ নিতে পারবে না।
কতিপয় মানুষ ক্ষমতা দখল করে আমাদের অধিকার বঞ্চিত করছে। যদি কেউ মনে করে যে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে কাউকে দাস করে রাখবে, তারা আহাম্মকের রাজ্যে বাস করে। কারণ এর চেয়েও খারাপ সময় থেকে বের হয়ে এসেছি আমরা। বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মো. মোফাজ্জল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।