মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে আনার সমালোচনা করেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। তিনি বলেন, জাতিগত সংঘাত নয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর আধিপত্যের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই তুলে ধরেন তিনি। অন্যদিকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থাকা রোহিঙ্গারা টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনে সু চি ও মিয়ানমারের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে ধিক্কার দিতে থাকেন। ক্যাম্পে মিছিল-সমাবেশের অনুমতি না থাকলেও রোহিঙ্গাদের মুখে মুখে স্লোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। শুনানি শুরুর আগেই দ্য হেগে আইসিজের সামনে সু চির সমর্থনে জড়ো হন মিয়ানমারের নাগরিকরা। তারা বিভিন্ন প্লাকার্ড বহন করেন, গালে-বুকে মিয়ানমারের নেত্রীর পক্ষে সমর্থন জানাতে স্লোগান দেন আইসিজের আদালত কক্ষের বাইরে। পরে বেলা ৩টার ঠিক আগে আগে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন সু চি। পরে বিচারকরা আসন গ্রহণ করলে প্রথমেই সাফাই বক্তব্য দেন মিয়ানমারের নেত্রী। সু চি বলেন, ‘মিয়ানমারের রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যদি গণহত্যা চালিয়ে থাকে, তাহলে মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বিচার ব্যবস্থায় তাদের বিচার করা হবে। মিয়ানমারের সামরিক আইন অত্যন্ত কঠোর এবং আন্তর্জাতিক মানের। আমরা মনে করি এ ঘটনাটি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা উচিত। রাখাইনে অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, সম্পদ হারিয়েছেন এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা কোনোভাবেই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় পড়ে না। আমরা আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে জানি এবং তা মেনে চলি। মিয়ানমারের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। রাখাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল একচোখা অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থানের কারণে রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা শুধু নেতিবাচক বক্তব্যই দিচ্ছে না, তাদের ভাষাগত সমস্যায় চূড়ান্ত রকমের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন এখানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’ ১৯৮০ সাল থেকেই মিয়ানমার তার অভ্যন্তরীণ সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সু চি বলেন, ‘আশির দশকের আগে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী চক্রের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা দরকার। আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতির মানসিকতা লালন করতে হবে। এটা একজন নেতার বড় দায়িত্ব। মিয়ানমার সরকার দেশের ভিতরে সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা অংশীদারদের সহযোগিতায় চেষ্টা করে যাচ্ছি সব ধর্মের মানুষ যেন মৌলিক অধিকার উপভোগ করতে পারে। নাগরিকত্ব যাচাই ও নিবন্ধনে একটি ভ্রাম্যমাণ দল কাজ শুরু করেছে। রাখাইনে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুকেই জন্মসনদ দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারের যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই তারা স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সুখী জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকার। রাখাইন রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের সামাজিক মানোন্নয়নে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে রাখাইন রাজ্য থেকে তিনটি সেনাক্যাম্প সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার কৌশল হিসেবেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। মিয়ানমারও চায় রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদাসম্পন্নভাবে প্রত্যাবাসিত হোক। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিও আমরা সম্পাদন করেছি।’ গণহত্যার মানসিকতা থাকলে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কীভাবে এ উদ্যোগগুলো নেওয়া হলো, প্রশ্ন রাখেন সু চি। সবশেষে তিনি বলেন, ‘রাখাইনে যা হয়েছে তা আরাকান বুড্ডিস্ট আর্মি ও রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ। সেখানে মুসলিমদের কোনো দায় ছিল না। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তাদের বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। এখনো সেখানে সংঘর্ষ চলমান। আমরা চাইছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ফেডেরাল মিয়ানমারের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে।’ এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রফেসর উইলিয়াম সিবার্স। তিনি আদালতে তোলা গাম্বিয়ার অভিযোগের বিভিন্ন অংশ উপস্থাপন ও রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ খন্ডানোর চেষ্টা করেন। প্রফেসর সিবার্স বলেন, ‘গাম্বিয়ার আবেদনে কোথাও হতাহতের হিসাব দেওয়া হয়নি। তিনটি গ্রামের কয়েকশ মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। আবেদনে যে জাতিসংঘের তদন্তের কথা বলা হয়েছে, তাতে ১০ হাজার পর্যন্ত রোহিঙ্গার প্রাণহানির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ সংখ্যার কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি। গ্রাম ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর প্রমাণ দেওয়া হয়নি। ক্রোয়েশিয়ার মামলায় সাড়ে ১২ হাজার মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সে সংখ্যা জনসংখ্যার তুলনায় কম বলে গণ্য করা হয়েছিল। মিয়ানমারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে ১০ হাজারের প্রাণহানির তথ্যের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন ওঠে। গ্রাম ধ্বংসের ক্ষেত্রে গণহত্যার উদ্দেশ্য প্রমাণিত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘ক্রোয়েশিয়ার মামলার রায়ে জোরপূর্বক বিতাড়ন জনগোষ্ঠীকে নির্মূলের উদ্দেশ্য হিসেবে গণ্য করা হয়নি। এ ক্ষেত্রেও তেমনটি গণ্য হওয়া উচিত। আদালতের উচিত আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা।’ এ ছাড়া জাতিসংঘের তদন্ত দলের অনুসন্ধান ত্রুটিপূর্ণ। ওই তদন্ত প্রতিবেদনকে আদালতের উপেক্ষা করা উচিত বলে দাবি করেন প্রফেসর সিবার্স। পরে মিয়ানমারের আরেক আইনজীবী ক্রিস্টোফার স্টকার বলেন, গাম্বিয়া নামমাত্র আবেদনকারী হলেও দেশটি আবেদন করেছে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে। মামলার অর্থায়ন করছে ওআইসি। গাম্বিয়া গত অক্টোবরে মিয়ানমারকে কূটনৈতিক পত্র (নোট ভারবাল) দেওয়ার এক সপ্তাহ আগেই ওআইসি আইনগত পদক্ষেপ শুরু করেছে। স্টকারের দাবি, ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনেও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়, সেখানেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এগুলোতে গণহত্যার ভিত্তি হিসেবে কোনো তথ্যপ্রমাণের কথা বলা হয়নি। ওআইসির ঢাকা ঘোষণায় ‘গণহত্যা’ বিশেষণ ব্যবহার করা হয়নি। এতে জাতিগত নির্মূলের কথা বলা হয়েছে। গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গত সেপ্টেম্বরে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানেও গণহত্যার কথা বলেননি। স্টকার বলেন, ‘ওআইসির প্রতিনিধি গাম্বিয়া মামলা করায় বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারের আওতায় আসে না। ওআইসি ছাড়া আরও কারা অর্থায়ন করছে তা স্পষ্ট নয়। গাম্বিয়া আইসিজের বিধিমালাকে পাশ কাটানোর জন্য ওআইসির হয়ে মামলা করেছে। কেননা সনদভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধের মামলা কেবল একটি রাষ্ট্রই করতে পারে, কোনো সংস্থা বা জোট নয়।’ মামলাটি ওআইসি করেছে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে ক্রিস্টোফার স্টকার বলেন, ‘গণহত্যা সনদের অধীনে গাম্বিয়ার যদি সত্যি কোনো বিরোধ থাকত, তাহলে দেশটি শুরু থেকে সে কথা বলেনি কেন। গণহত্যা সনদের কথা তারা তুলেছে শুধু ওআইসির তরফে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর। আর মিয়ানমারের ঘটনাবলিতে যদি কোনো দেশ সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকে, সেটি হওয়ার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশ গণহত্যা সনদের স্বাক্ষরকারী দেশ না হওয়ায় তারা মামলা করার অধিকার রাখে না। কার্যত লাওস ছাড়া মিয়ানমারের অন্য কোনো প্রতিবেশীই এমন মামলা করতে পারে না।’ গতকাল শেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আইনজীবী ফোবে ওকোয়া। তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্তে নেওয়া ব্যবস্থাগুলোর বিবরণ তুলে ধরেন। ফোবে ওকোয়া জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফর করেছেন এবং প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার কথা বলেছেন। প্রতিবেশী তিনটি দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমন্বয় প্রত্যাবাসনের সহায়ক হতে পারে। ফোবে ওকোয়ার দাবি, ‘সবচেয়ে বড় বোঝা যাদের ঘাড়ে পড়েছে, সেই বাংলাদেশ মিয়ানমারে আশু কোনো গণহত্যার ঝুঁকির কথা বলছে না। তারা মিয়ানমারের সঙ্গে একটি সম্মত কার্যবিবরণীতে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছে। ইউএনএইচসিআর মাঠপর্যায় থেকে প্রত্যাবাসন তদারক করবে এবং কোনো ধরনের ঝুঁকি দেখলে তারা তা জানাতে পারবে। সুতরাং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলতে দেওয়া উচিত।’ পরে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের বিচারকদের সভাপতিত্ব করা সোমালিয়ার বিচারপতি আবদুল কাবি আহমেদ ইউসুফ দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি মুলতবি করেন। আজ দুই সেশনে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়ে ৯০ মিনিট করে যুক্তিখ-ন উপস্থাপনের সুযোগ পাবে বলে জানান বিচারপতি আহমেদ ইউসুফ। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্য করে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠনের অভিযোগ ওঠে। অভিযানের মুখে ১১ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত-সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। সে সময় মিয়ানমারের সেনাসদস্য, পুলিশ ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা রোহিঙ্গাদের নিধনে সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে জাতিসংঘের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। গত ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ৫৭ সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক করপোরেশন (ওআইসি) মিয়ানমারে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সমর্থন করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ প্রার্থনা : শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় ওই শুনানির দিকে তাকিয়ে আছে। আদালতে সু চির উপস্থিতি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা। সু চিকে গণহত্যার প্রতীক আখ্যা দিয়ে এক সময়কার গণতন্ত্রপন্থি ওই নেত্রীর প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের মসজিদে মসজিদে দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেন রোহিঙ্গারা। ফজরের নামাজের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মসজিদগুলোতে ছিল বিশেষ মোনাজাত। বেশ কিছু স্থানে মসজিদের আঙ্গিনা এবং খোলা মাঠে প্রার্থনা করেন রোহিঙ্গারা।
সু চিকে গণহত্যার দায় স্বীকারের আহ্বান ৮ নোবেল বিজয়ীর : রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা স্বীকার করে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ শান্তিতে নোবেলজয়ী আট আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। ড. ইউনূসসহ এই নোবেলজয়ীরা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি অং সান সু চির সংঘটিত ফৌজদারি অপরাধের জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করা উচিত।