শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কী আছে মেডিকেল রিপোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চার ধরনের রোগে ভুগছেন বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দাখিল করা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।

তবে খালেদা জিয়ার সম্মতি না পাওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে না বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আপিল বিভাগে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কার্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া। সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গত ১০ ডিসেম্বর গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের পাশাপাশি ৭ অক্টোবর গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনও দিয়েছেন।  সর্বশেষ (১০ ডিসেম্বর গঠিত) মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন চিকিৎসক শামীম আহমেদ, বদরুন্নেছা আহমেদ, তানজিমা পারভীন, চৌধুরী ইকবাল মাহমুদ, সৈয়দ আতিকুল হক, মো. ঝিলান মিয়া সরকার ও মো. ফরিদ উদ্দিন। এই বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কফজনিত শ্বাসকষ্ট (কফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা), প্রতিস্থাপনজনিত হাঁটুতে ব্যথায় (অস্টিও-আর্থ্রাইটিস নামে পরিচিত) ভুগছেন। তার রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়ার গেঁটে বাতজনিত সমস্যা জটিল পর্যায়ে রয়েছে। ক্রমেই এর অবনতি হচ্ছে। এর নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে চিকিৎসা চালু আছে, গত কয়েক দশকে তার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার গেঁটে বাতের জন্য প্রচলিত চিকিৎসা আর কাজ করছে না। যে কারণে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানের এক ধরনের বায়োলজিক্যাল থেরাপি দেওয়ার সুপারিশ করা হচ্ছে। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে তার কাছ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ফলে তার চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডান পায়ের ত্বকের নিচে এক ধরনের ছোট নডিউল আছে। এর জন্যও মেডিকেল বোর্ড একটি উন্নতমানের চিকিৎসার সুপারিশ করেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সম্মতি না থাকায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়াও গত ৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। খালেদা জিয়াও চান মাঝে মাঝে এমন পরীক্ষা করানো হোক। তবে তার ক্ষুধামন্দার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল বোর্ড তার জিআই অ্যান্ডোস্কপি করার পরামর্শ দিচ্ছে। এসব সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে যেসব ওষুধ প্রয়োগ করা প্রয়োজন তার জন্য খালেদা জিয়ার সম্মতির অধীর অপেক্ষায় আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর