বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্বাচন পেছাতে ছাত্রদের শাহবাগ অবরোধ

ইসি বলছে ৩০ জানুয়ারিই ভোট, আদালতে রিট খারিজ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

নির্বাচন পেছাতে ছাত্রদের শাহবাগ অবরোধ

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট খারিজ হওয়ার পর গতকাল বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না হলে ইসি ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও দিয়েছেন তারা। এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, ৩০ জানুয়ারিই ভোট হবে। ভোট-পূজা একসঙ্গে হবে। এর আগে একই দাবিতে দুপুরে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় একই দিনে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ এবং পূজা ‘সাংঘর্ষিক’ বলে দাবি করেন তারা। পরে আদালতে রিট আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিকাল পৌনে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাহবাগের আশপাশের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।

আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়ক জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘সরস্বতী পূজা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালন করা হয়। ফলে ওইদিন নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা পূজা উদযাপন করতে পারবেন না। সনাতন ভোটাররাও সাড়ম্বরে পূজা করতে পারবেন না। আবার নিরাপত্তা ঝুঁকিও আছে।’

ভোট-পূজা একসঙ্গে হবে : ইসি সচিব : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ও পূজা একসঙ্গে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, এটি সাংঘর্ষিক হবে না। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন, সরস্বতী পূজা, এসএসসি পরীক্ষাসহ সব বিবেচনায় নিয়ে সর্বোত্তম দিন হিসেবে ৩০ জানুয়ারি ঠিক করা হয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের আবেদন ছিল ভোটের তারিখ পরিবর্তনের।

ভোট পেছানো রিট খারিজ : সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা দুই সিটির ভোট গ্রহণের তারিখ বদলানোর আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়। ফলে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারিই ঢাকার দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ হবে। রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ আদালতে নিজেই শুনানি করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ও সহসভাপতি সুব্রত চৌধুরীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণœ হয়েছে : রানা দাশগুপ্ত : রিট খারিজে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান এই আইনজীবী। আদেশের পর তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরও যে পূজা-অর্চনা করার অধিকার আছে, আদালতের রায়ে সেই অধিকারগুলোকে ক্ষুণœ করা হচ্ছে। খর্ব করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর