ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মন্্জুরুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষা আইনে যদি বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার বন্ধ না করে শুধু নোট-গাইড নিষিদ্ধ করা হয় তবে তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ কোচিংয়ের সঙ্গে নোট-গাইড বাণিজ্যের একটি যোগসূত্র রয়েছে। আর পড়াশোনার জন্য যদি বাণিজ্যিক কোচিংকেই উৎসাহিত করা হয় তবে স্কুলের কাজটা কী? গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, শিক্ষা আইন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আমরা আশা করেছিলাম বাস্তবতা সামনে রেখে এ আইন প্রণয়ন করা হবে। শিক্ষা আইনের খসড়ায় নোট-গাইড নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এটা ইতিবাচক। কোচিং বাণিজ্য যদি বন্ধ না হয় নোট-গাইড নিষিদ্ধ করে কোনো লাভ হবে না। কোচিং সেন্টার থেকেই নোট-গাইড পড়তে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ হয়। তিনি বলেন, আইনের খসড়ায় আরও বলা হয়েছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে কোচিং সেন্টার চালানো যাবে না। কিন্তু সারা দেশের কোচিং কখন খোলা থাকবে, কখন বন্ধ রাখবে তা মনিটরিং করা অসম্ভব ব্যাপার। এসব কোচিং সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে তা ক্ষতিকারক হবে। স্কুলের পড়াশোনা স্কুলেই হওয়া উচিত। যত দিন কোচিংয়ের ওপর আমাদের নির্ভরতা থাকবে তত দিন স্কুলের পড়া স্কুলে হবে না। এটা একটা চক্র হয়ে গেছে। এ চক্র ভাঙার একটা বিষয় হতে পারত যে, কোনো কোচিংই থাকবে না। আরেকটি বিষয় হলো, আইনের খসড়ায় শিক্ষকদের জন্য কোচিং নিষিদ্ধ করা হলো, কিন্তু উন্মুক্ত করা হলো বাণিজ্যের জন্য। এটি একটি দ্বিমুখী নীতি। সৈয়দ মন্্জুরুল ইসলাম বলেন, এ খসড়া আইন নিয়ে আরও চিন্তার অবকাশ রয়েছে। কারণ, আইনের এসব ধারায় বাণিজ্যিক কোচিংয়ের বৈধতা দিয়ে স্কুলে পড়াশোনা না করাকে উৎসাহিত করছি কিনা তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কথা বলে কোচিংকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানে রাস্তায় হাঁটতেও তো প্রতিযোগিতা করতে হয়। প্রতিযোগিতা কোথায় নেই? অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে যদি প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য হতে হয় তবে স্কুল কী শেখাচ্ছে? আসলে বর্তমানে কোচিং সেন্টার আর স্কুলকে সমান্তরাল হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। এটি নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে যেন কেউ কোচিংয়ের দিকে না গিয়ে সম্মানজনকভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। তাহলে স্কুলের পড়া স্কুলেই হবে, কোচিংয়ের প্রয়োজন হবে না। মেধাবীদের শিক্ষা সেক্টরে আকৃষ্ট করতে হবে, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, এতে কোচিংনির্ভর শিক্ষা বন্ধ হবে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে