শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

অধিনায়ক মাশরাফির শেষ দিনে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

মেজবাহ্-উল-হক, সিলেট থেকে

অধিনায়ক মাশরাফির শেষ দিনে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

মাশরাফি আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে এটি তার শেষ ম্যাচ। তাই ম্যাচজুড়েই নজর ছিল তার দিকে। ম্যাচ শেষে ক্যাপ্টেনকে কাঁধে নিয়েই সারা মাঠ ঘুরলেন তামিম ইকবাল -রোহেত রাজীব

ম্যাচ শেষে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে কাঁধে তুলে নিয়ে হাঁটতে থাকেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে হাঁটছেন দলের অন্যরাও। ক্রিকেটারদের চোখ যেন ছলছল করছিল! ড্রেসিংরুমের সামনে গিয়ে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত। প্রিয় মাশরাফির ‘নেতা’ হিসেবে বিদায় বলে কথা!

অধিনায়ক মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে বাংলাদেশ ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। সিরিজে ৩-০ তে জিতে গেল স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ হলো। বিদায়ী ম্যাচেই ‘অধিনায়ক’ হিসেবে বাংলাদেশকে ৫০তম জয় এনে দিলেন মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমি গর্বিত আমার দায়িত্ব পালন করে। আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।’ ম্যাচে মাশরাফিকে স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট উপহার দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পরে সবার স্বাক্ষর সংবলিত জার্সি উপহার দেন দলের অন্য ক্রিকেটাররা। গতকাল বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে বাংলাদেশ টসে হেরে দুই দফায় ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছিল ৩২২ রান। ডার্কওয়াথ/লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান। আফ্রিকার দলটি ২১৮ রানেই আটকে যায়। লিটন ১৭৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তামিম খেলেছেন অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস। সিরিজ সেরা হয়েছেন যৌথভাবে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

কালকের ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয় ৩৩.২ ওভারের সময়। তখন বিনা উইকেটে ১৮২ রান ছিল বাংলাদেশের। ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট পর যখন খেলা শুরু হয় তখন ম্যাচের উভয় ইনিংস থেকে ৭ ওভার করে কাটা হয়। পরের ৯.২ ওভার থেকে বাংলাদেশ করে ১৪০ রান। একে তো মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচ, অন্যদিকে আরেকবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। এই ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তামিম ইকবাল। লিটনের ১৪৩ বলের মহাকাব্যিক ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কার মার। তামিমের ১০৬ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। লিটন এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের স্কোরের মালিক। তামিমের সঙ্গে তার জুটিটি এখন বাংলাদেশের সেরা জুটি। তারা দুজন মিলে ভেঙে দিয়েছেন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ ২২৪ রানের জুটি। তারা প্রথমে ভাঙেন ২১ বছর আগে করা উদ্বোধনী জুটিতে শাহরিয়ার হোসেন ও মেহেরাব হোসেনের ১৭০ রানের জুটি। লিটন-তামিমের এই জুটি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসেই ষষ্ঠ সেরা জুটি। উপমহাদেশের মাটিতে দ্বিতীয় সেরা। এমন দিনে লিটন ও তামিমের জুটি যেন হয়ে থাকল মাশরাফির বিদায়ী উপহার!

সর্বশেষ খবর