শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

হঠাৎ স্থগিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

হঠাৎই সরকারের কাছে কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান স্থগিত করল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এটা কি কোনো ষড়যন্ত্র কি না তাও বুঝতে পারছি না। সবকিছু প্রস্তুত ছিল। এ মুহূর্তে হঠাৎই কিট উৎপাদনে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই আজ শনিবারের কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। গতকাল বিকালে কভিড-১৯ ডট ব্লট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘অত্যন্ত দুঃখিত। কভিড-১৯ ডট ব্লট কিট হস্তান্তর স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ শিগগিরই জানানো হবে।’ আজ শনিবার কিট হস্তান্তর ও এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। কিট উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি শেষ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলনটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে, পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়নি।’ স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি। কিট হস্তান্তরের জটিলতার বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হঠাৎ করেই ইলেকট্রনিক ও যান্ত্রিক সমস্যার কারণে উৎপাদনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এটা সারতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সারাতে।’

আজ সকাল ১১টায় সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিএসএমএমইউ, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সামনে কিট হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিল। ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনের অনুমতি পাওয়ার তথ্য জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকারের ওষুধ প্রশাসন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। এ কিট তৈরির কাঁচামাল আসবে ইংল্যান্ড থেকে। কাঁচামাল এলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা প্রোডাকশনে যেতে পারব। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা বাজারে আসতে পারে।  গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানান, কভিড-১৯ পরীক্ষায় কিট তৈরিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাঁচামালের একটি অংশ চীন থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। তবে ইংল্যান্ড থেকে এখনো কাঁচামাল পৌঁছেনি। আরও দু-একদিন সময় লাগতে পারে। সরকারের ‘সবুজ সংকেত’ পেলে ১৫ এপ্রিল থেকে বড় পরিসরে কাজ শুরু করবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এ পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খরচ হবে মাত্র ৩০০-৩৫০ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর