করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) জালিয়াতির মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। পরে নিয়মানুযায়ী ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভুঁইয়া ‘এ চার্জশিট দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেন। চার্জশিটে ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নয়জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত আট আসামি হলেন জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, আরিফের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কো-অর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস এবং শফিকুল ইসলাম রোমিও। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামলার তদন্তকালে জেকেজির কম্পিউটার থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড আরিফুল। এ ক্ষেত্রে অন্য আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা করত। এ ছাড়া মামলার অন্যতম আসামি হিরু ছিল গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তার হাত দিয়ে তৈরি হতো ভুয়া সনদ। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে জেকেজির চুক্তিতে ‘গাফিলতি’র বিষয়ও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের কম্পিউটার থেকে চারজন প্রবাসীসহ ৪৩ জনের নামে তৈরি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কামাল হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে আসামি হুমায়ুন ও তার স্ত্রী ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার বোন জেবুন্নেছাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। পরে ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনাকেও গ্রেফতার করা হয়। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় এরই মধ্যে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
ভুয়া রিপোর্টের মাস্টারমাইন্ড আরিফ
সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
আদালত প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর