গত বছর ২৬ জুন ভরদুপুরে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি রোমহর্ষক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা দিয়ে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করে চলেছে। আর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর নাম বলেন। ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। রিফাত হত্যার ঘটনা শহরে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এসব কিশোর তরুণের পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার খবর গণমাধ্যমে এলে হত্যার কারণ নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলতে থাকে। এর মধ্যেই ২ জুলাই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এদিকে মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকান্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুললে আলোচনা নতুন মোড় নেয়। ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সেদিন রাতে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। পাঁচ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিন্নি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর অভিযোগ করেন, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মিন্নিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। এর পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের হাত আছে বলেও তিনি সে সময় দাবি করেন। পরে ওই জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করে মিন্নি। তবে আদালত এ বিষয়ে আদেশ না দিয়ে আবেদনটি নথিভুক্ত করে রাখেন। পরে ২৯ আগস্ট হাই কোর্ট মিন্নির জামিন মঞ্জুর করে। হত্যাকান্ডের দুই মাসের মাথায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বরগুনার আদালতে মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহারের ১ নম্বর আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তার নাম অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় রাখা হয়নি। ৮ জানুয়ারি শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। ৭৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে। গতকাল ঘোষিত রায়ে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয় আদালত।
শিরোনাম
                        - কুবি পরিদর্শন করল জাইকা প্রতিনিধি দল
 - আকবরের নেতৃত্বে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
 - মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
 - সাবেক আইনমন্ত্রীর বান্ধবীর আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ
 - বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
 - পেঁয়াজের কেজি ছাড়ালো ১০০ টাকা
 - জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দুর্নীতি হয়েছে ২১১০ কোটি টাকা : টিআইবি
 - বিসিবিকে রুবেলের খোঁচা
 - জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা মামলায় বর্ষার জামিন নামঞ্জুর
 - চোটে বিগ ব্যাশ থেকে ছিটকে গেলেন অশ্বিন
 - রংপুরে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে খুলল নতুন দুয়ার
 - আসিয়ানে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
 - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে নির্দেশনা
 - সারা দেশে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৬৪১
 - বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পরই বগুড়ায় আনন্দ-উৎসব
 - মিশরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইত্তেহাদ’ বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০২৫
 - বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
 - নোয়াখালীতে ট্রাক চাপায় সিএনজির চালকসহ ছয় জন নিহত
 - স্ত্রীকে ফেরাতে না পেরে প্রেমিককে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
 - যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার