সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বেগমপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা কারা

অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় জানতে চায় উচ্চ আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেগমপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা কারা

কানাডার বেগমপাড়ায় অর্থ পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা কারা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় আদালত বলে, বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা জাতীয় বেইমান, দেশের শত্রু। তাদের নাম প্রকাশ করা না হলে অপরাধ কমবে না বলে মনে করে উচ্চ আদালত। অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে গতকাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেওয়ার আগে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলে। হাই কোর্ট বলে, ‘এই যে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে, তাদের নাম-ঠিকানা কী, সেটা তো জানা দরকার। এরা দেশ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে বলে আমি মনে করি। কারণ দেশে পড়াশোনা করে, দেশের মাটিতে থেকে, দেশের বাইরে টাকা পাচার করবে, এটা কি বেইমানি নয়?’

ওই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, ‘এটা কালচার (সংস্কৃতি) হয়ে গেছে।’ জবাবে বিচারক বলেন, ‘দেশের মাটিতে থাকবে, পড়াশোনা করবে কিন্তু সব শেষে দেশকে ঠকিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করবে, এটা তো হতে পারে না। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে এটা কখনো করতে পারে না।’

আদালত বলে, ‘এভাবে তো আমরা দুর্বৃত্তদের গ্রহণ করতে পারি না। দেশের টাকা অবৈধভাবে বাইরে চলে যাবে, আমাদের এতগুলো আইনগত সংস্থা, কোর্ট রয়েছে। আমাদের অবশ্যই এগুলো বন্ধ করতে হবে।’ হাই কোর্ট বলে, ‘তাদের (অর্থ পাচারকারী) নাম-ঠিকানা, কীভাবে অর্থ পাচার করল, কীভাবে বিদেশে বাড়ি তৈরি করল, এটা জানা দরকার। না হলে তো অপরাধ কমবে না। হাই কোর্ট ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে তথ্য চেয়েছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কানাডায় অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সরকার। পাচারকারীদের বেশির ভাগ সরকারি কর্মকর্তা। তবে এই কর্মকর্তা কারা, তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। কারও বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। গতকাল আদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর